পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসার কথা ছিল আগামী বছরের ডিসেম্বরে। তবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ পেতে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বা ডিসেম্বর পর্যন্ত লাগতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন,সার্বিকভাবে কাজের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। করোনাকালীন সময়ে ২ বছরের মতো কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে, তবে সেটা পুষিয়ে উঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে আমেরিকার অবরোধের মুখে কাজের ব্যাঘাত ঘটবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটের কাজ ৮৭ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে। এই ইউনিটের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। ২০২৪ সালে শেষ দিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাবে। নসরুল হামিদ বলেন, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। প্রথম ইউনিটের কাজ প্রায় ৮৭ ভাগ শেষ হয়েছে। এরপর আমরা দ্বিতীয় ইউনিটে যাব। কোভিডের কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছিল। রাশিয়ানরাও তাদের গতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে সে স্বপ্ন আরও একধাপ পূরণ হবে। এখানে কাজ করার জন্য ছেলে-মেয়েরা সুযোগ পাবে। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা রাশিয়াতে ট্রেনিং নিয়েছে। পাওয়ার প্লান্টের কন্সট্রাকশনের কাজে দেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। এটা আমাদের দেশের জন্য একটি বড় অভিজ্ঞতা।
১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচের এই প্রকল্পে ৯০ ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। একইসঙ্গে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রূশ ঠিকাদার এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট এবং একই পরিমাণ বিদ্যুৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ২০২৪ সালে উৎপাদনে আসার কথা ছিল। বর্তমানে পৃথিবীর ৩০টি দেশে ৪৪৯টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতের পরিমাণ মোট উৎপন্ন বিদ্যুতের প্রায় ১২ শতাংশ। ১৪টি দেশে আরও ৬৫টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ ২৭টি দেশে ১৭৩টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এগুলোর মধ্যে ৩০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রই নির্মাণ করা হবে পরমাণু বিশ্বে নবাগত দেশসমূহে, যার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
আর্থিক অঙ্কে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রকল্প। সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। রূপপুর ছাড়াও বাংলাদেশ আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কথা ভাবছে। রূপপুর প্রকল্পটিতে প্রতিদিন স্থানীয় প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রকল্পটির নিরাপত্তার আন্তর্জাতিকমানের করা নিয়েও কাজ করছে সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সহধর্মিনী ও ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক সীমা হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, রূপপুরের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর, পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকিউল ইসলাম।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।