Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুখ্য সচিবের সাথে সচিবসহ কর্মকর্তাদের বৈঠক কাল

সরকারের ১০ বছরের উন্নয়ন

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

বর্তমান সরকারের প্রায় দশ বছরের সব মন্ত্রণালয় ভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও সাফল্য সাধারণ জনগণের কাছে পৌছানোর উপায় ও কৌশল নির্ধারণে আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকল মন্ত্রনালয়ের সচিব ও অধিদপ্তর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৭ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস মো.নজরুল ইসলাম স্বারিত চিঠি সকল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তর প্রধানদের পাঠানো হয়। এছাড়া সভায় সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের তথ্য অফিসারদের থাকতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত প্রেস মো.নজরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান সরকারের প্রায় দশ বছরের মন্ত্রণালয় ভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও সাফল্য সাধারণ জনগণের কাছে পৌছানোর উপায় ও কৌশল নির্ধারণে সকল মন্ত্রনালয়ের সচিব ও অধিদপ্তর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বরের সভায় যেসব বিষয় উপস্থাপন করা হবে সে গুলো হচ্ছে, নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/ বিভাগের বিগত প্রায় দশবছরের সাফল্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ, জনসাধরণের  মধ্যে প্রচারের নিমিত্তে তৈরি করা উপকরণগুলো বিবরণ, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের বিবরণ এবং সুপারিশমালা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ১০ বছরের অর্জিত উন্নয়নের প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যস্ত মন্ত্রণালয় ও অধীনের বিভাগগুলো। তথ্য মন্ত্রণালয়  থেকে পাঠানো নির্দেশনার আলোকে মন্ত্রণালয়গুলো এ প্রতিবেদন তৈরি কাজ শেষ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নজিবুর রহমান মূখ্য সচিব হওয়ার পর প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা সঙ্গে বৈঠক এটাই প্রথম। জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সরকারের শেষ সময়কে সামনে রেখে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সরকারের বিগত দিনের উন্নয়ন চিত্র, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ও ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের অবস্থা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুর সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহের কাজ আবারো নতুন করে নেয়া হয়েছে।
সরকারের অগ্রাধিকারের দশ প্রকল্প হলো- পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতু  রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র,  মেট্রো রেল, এলএনজি টার্মিনাল, গভীর সমুদ্র বন্দর, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং দোহাজারী থেকে রামু হয়ে মিয়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপন প্রকল্প এ গুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা করবেন।
এছাড়া এ দশ উদ্যোগ হল- একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ ও পরিবেশ সুরক্ষা।এ উদ্যোগগুলোকে শেখ হাসিনা ব্র্যান্ডিং নামে প্রচার করার জন্য গণমাধ্যমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া দারিদ্র্যের হার এখনকার ২২ শতাংশ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার ওপর জোর দিবেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে ২৬ দফার তথ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছে পৌচেছে যা আগামী  রোববার প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবগত করা হবে। চলতি বছরের নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা পরে ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের তালিকা   দেশের সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা এবং গনমাধ্যমে প্রচার করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় ২৬টি নির্দেশনা দেন। বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ২৩ জুলাই সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবকে চিঠি দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সেই চিঠিতে বলা হয়- ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এবং ২০০৯ থেকে বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। পাশাপাশি এসব উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রামাণ্যচিত্র আকারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ২৬টি বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চেয়ে গত মাসের ৮ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের তাগেতা চিঠি দেয়া হয়েছে।  চিঠি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো একতরফা নির্বাচন করতে চায় না সরকার। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় দন্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এমতাবস্থায় সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কাজ চলছে। জনগণের ভোট পেতে হলে দৃশ্যমান কিছু থাকতে হবে। পাশাপাশি যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে। এসব বিষয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী করণীয় নির্ধারণ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সচিব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ