নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসন্ন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে ছয়টি দেশ অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা হলো- স্বাগতিক বাংলাদেশ, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নেপাল, ফিলিপাইন, লাওস, তাজিকিস্তান ও ফিলিস্তিন। শুরুর একমাস বাকি থাকলেও গতকাল অনুষ্ঠিত হলো টুর্নামেন্টের ড্র। গ্রæপিং নির্ধারণের জন্য জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এই ড্র। ছয় জাতির বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে স্বাগতিক বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রæপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ফিলিপাইন ও লাওস। ‘এ’ গ্রæপে খেলছে- বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নেপাল, তাজিকিস্তান ও ফিলিস্তিন।
দুই বছরেরও বেশি সময় পর কে-স্পোর্টসের পৃষ্ঠপোষকতায় ফের মাঠে গড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। আগামী ১ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের তিন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্টের খেলা। ভেন্যুগুলো হলো- ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, নীলফামারী শেখ কামাল স্টেডিয়াম এবং সিলেট জেলা স্টেডিয়াম।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের খেলা। ওই আসরে আটটি দল খেললেও এবার তা কমে ছয়ে দাঁড়িয়েছে। আগের চার আসরে জাতীয় দলের পাশাপাশি বয়সভিত্তিক দলগুলো অংশ নিলেও এবার ছয় দেশের জাতীয় দলের অংশগ্রহণেই অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। যা আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এবার টুর্নামেন্টের গ্রæপপর্বের সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে। এরপর দু’টি সেমিফাইনাল হবে নীলফামারীতে। আর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শুধু ফাইনাল।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান কে-স্পোর্টস। টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় এবং দর্শকপ্রিয়তা করে তোলার লক্ষ্যে সব ধরনের উদ্যোগের কথাই কাল জানানো হয়। এমনকি যেসব দর্শক মাঠে এসে খেলা দেখতে পারবেন না, তাদের জন্য টেলিভিশনের পর্দায় সরাসরি ম্যাচ সম্প্রচারের ব্যবস্থাও রাখা হবে বলে জানান কে-স্পোর্টসের সিইও ফাহাদ করিম।
ড্র অনুষ্ঠানে শুধু বাফুফের ঊর্ধ্বতন কর্তারাই নন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার এমপি, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এমপিসহ ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান, নেপালের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ধন বাহাদুর ওলি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, ‘জাতির পিতার নামে পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। এমন একটি আয়োজনের অংশ নিতে পেরে গর্ববোধ করছি। ফুটবল বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। ঢাকার বাইরে যেখানেই ফুটবল আয়োজন করা হোক না কেন মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে প্রমাণিত হয় ফুটবল বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের খেলা।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘যখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনে আগ্রহী নয়। ফিফা- এবং এএফসির ম্যাচ নিয়েই ব্যস্ত। সেখানে আমরা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করতে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন খেলাপ্রিয় মানুষ, তার ছেলেও তাই ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নামে এমন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। এশিয়ার প্রতিটি অঞ্চল থেকে দল এনে টুর্নামেন্ট করতে যাচ্ছি। যাতে এই টুর্নামেন্টে এশিয়ান ফুটবলের স্বাদ পান সব ফুটবলপ্রেমী। আমরা চেষ্টা করছি বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পঞ্চম আসরকে আকর্ষনীয় করে তুলতে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।