Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পটিয়ায় অবহেলিত সুচক্রদন্ডী সড়কের বেহাল দশা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৩৫ এএম

পটিয়া পৌরসভার সুচক্রদন্ডী এলাকা বর্তমানে বিভিন্নভাবে অবহেলিত। এ এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লোকজন বর্ষা মওসুমে পানির মধ্যে নিমজ্জিত থাকে। রাস্তঘাট সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে থাকায় লোকজন ও যানবাহন চলাচল করতে দুর্ভোগের সম্মুখীন। সরেজমিনে গিয়ে এলাকার লোকজন থেকে জানা যায়, হাঁঈদগাও পাহাড়ি এলাকা দিয়ে প্রবাহিত খালটি সুচক্রদন্ডী হয়ে ইন্দ্রপুল চানঁখালী জোয়ার ভাটা খালের সাথে মিলিত হয়। শত বছর ধরে এ খাল দিয়ে পটিয়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার পানি প্রবাহিত হয়ে চাঁনখালী খালে গিয়ে পড়ত। এতে সুচক্রদন্ডী এলাকসহ পৌরসভার ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার পানি সুষ্ঠুভাবে প্রবাহের দরুন এলাকায় কোন পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হতো না। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দ্রপুল এলাকায় একটি মুনাফালোভী প্রভাবশালী মহল খালের তীর দখল করে লবন মিল ও লবনের মাঠ তৈরি করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কের উপর যে ব্রীজ রয়েছে সে ব্রীজের মুখ ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে লবন মাঠ ও লবনের গুদাম। গত দুই বছর পূর্বে ব্রীজের মুখে খাল ভরাট করে মেসার্স গাজী আবদুল কাদের সল্ট রিফাইনারী ইন্ড্রাষ্ট্রিজের মালিকের একটি গুদাম তৈরি করা হয়। অন্যদিকে লবন মিলের পূর্ব পার্শ্বে পটিয়া পৌরসভা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে বরাদ্দ পাওয়া ড্রেন নির্মাণের জন্য রাস্তার পার্শ্বে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করে। উক্ত প্রকল্পের সহযোগী ঠিকাদার মেসার্স এয়াকুব এন্ড ব্রাদার্স দুই কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ করার জন্য গত ছয় মাস আগে নালা খনন করে সেখানে ড্রেন নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে প্রায় কোটি টাকার লোহার রড় স্থাপন করে। স্থাপনের ছয় মাস পার হয়ে গেলেও সেখানে আর সি সি ঢালাই না করায় কোটি টাকার রড় গুলো এখন পানির নিচে। ফলে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সুচক্রদন্ডী এলকার রামকৃঞ্চ মিশন রোড থেকে ইন্দ্রপোল পর্যন্ত যে সড়কটি রয়েছে সে সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়কের কার্পেটিং উটে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে রিটার্নিং ওয়াল না থাকায় ভারী যানবাহন চলাচল করার ফলে রাস্তা ধেবে গিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে ভেঙে পড়েছে। এতে সড়কের প্রশস্থতা কমে গিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। জনাব আলী ফকির বাড়ীর সামনে সুচক্রদন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ‘গত ছয় মাস পূর্বে ঠিকাদার উক্ত স্থানে কাজ করার জন্য রডগুলো স্থাপন করে। কিন্তু বর্ষা আসায় কাজ শেষ করতে পারে নি। আগামী দুই মাসের মধ্যে পুনরায় কাজ শুরু হবে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পটিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ