রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
চট্টগ্রামের নবগঠিত কর্ণফুলী উপজেলা ও বর্তমানে পটিয়া উপজেলার অধীন ৫ ইউনিয়নে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ৪টিতে নৌকা প্রতীকের বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কাজ করে যাচ্ছে। আ.লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে আ.লীগের নেতারা। গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন অতিবাহিত হওয়ার পর দেখা যায় শিকলবাহা ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের আবুল কালাম বকুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের এডহক কমিটির সদস্য। জুলধা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ নুরুল হক এর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি রফিক আহমদ, বড় উঠান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ দিদারুল আলম এর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আবদুল মান্নান, চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ মো. আলী’র বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও মিল্ক ভিটার পরিচালক নাজিম উদ্দিন হায়দার। তবে চর পাথরঘাটা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাজী ছাবের আহমদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলেও বাকি ৪ ইউনিয়নে এখনো বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। কর্ণফুলী উপজেলার ৫ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বর্তমানে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত ৫ বছর সরকারের উন্নয়ন কাজে জড়িত থাকার কারণে এলাকায় তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে ব্যাপক। দলীয় ও গোয়েন্দা সূত্রে একাধিক জরিপের পর উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড দলের মনোয়ন চূড়ান্ত করে। কিন্তু এদের মনোনয়নের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেন আনোয়ারা-কর্ণফুলী (পটিয়া আংশিক) থেকে নির্বাচিত ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী অনুসারীরা মনোনয়ন পাওয়ায় পাল্টা প্রতিশোধ নিতে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ জামাল এবং সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রণি বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন বলে ৫ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা জানিয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেদের জয়লাভের চেয়েও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে পরাজিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জানান। চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দারের ছোটভাই জসীম উদ্দিন হায়দার বিএনপি প্রার্থীর প্রস্তাবক হয়েছেন। পটিয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি রাশেদ মনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রদত্ত সতর্ক বার্তার অনুকূলে পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নের ১৩ বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়ন গত বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করলেও কর্ণফুলী’র ৪ ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। কর্ণফুলী থানা আ.লীগ সভাপতি-সেক্রেটারি ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে দায়ী করেছেন বর্তমান নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থীরা। তারা বিষয়টি কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড সহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।