পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পটিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর হাইদগাঁও গ্রামে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় নুরুল আবছার নামের এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে গাছের সাথে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে উপজেলার হাঈদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর হাঈদগাঁও গ্রামের রমজান মুন্সিবাড়ী এলাকার মৃত আবদুল আজিজের পুত্র। এ ঘটনায় নিহতের মা মরিয়ম বেগম তিনজনকে এজাহারনামীয় আসামি করে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন, মৃত আব্দুস ছালামের পুত্র মো. লোকমান হাকিম (৪৫), তার স্ত্রী মোছাম্মৎ রোকেয়া বেগম (৩৪), ও ভাসুর মো. আব্দুল মান্নান (৫৫)। এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় জড়িত দুই সহোদর লোকমান হাকিম ও আবদুল মান্নানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হাঈদগাঁও ইউনিয়নে রমজান মুন্সিবাড়ী এলাকায় মৃত নুরুল আবছারের সাথে পার্শ¦বর্তী প্রতিবেশী লোকমান হাকিম ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবাসায়িক লেনদেন ছিল। সেই হিসাবে ব্যবসায়িক টাকা আনার জন্য লোকমানের বাসায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো নুরুল আবছার। গতকাল শুক্রবার তারাবির নামাজ শেষে নুরুল আবছারকে লোকমান হাকিমের স্ত্রী ও লোকমান হাকিম বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাদের নিকট ব্যবসায়িক টাকা চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ-বিত-ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা দুই ভাই মিলে নুরুল আবছারকে মারধর করে এবং তাদের ঘরের উঠানে পার্শ্ববর্তী গামারি গাছের সাথে রশি দিয়ে কোমড়ে এবং পায়ে বেঁধে লোহার পাইপ ও গাছের বাটাম দিয়ে পেঠাতে থাকে। এতে নুরুল আবছার জখমপ্রাপ্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ‘মৃত নুরুল আবছারের সাথে লোকমান হাকিমের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়া প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছিল। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার এ নিয়ে বৈঠকও হয়েছিল। সে হিসেবে রাত ১১টার দিকে তাকে ফোন করে লোকমান হাকিমের বাড়িতে ডেকে এনে লোকমানসহ তার ভাইয়েরা স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকা-ের ঘটনা জানতে পেরে ক্ষোভে গাছের সাথে বেঁধে আবছারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
পটিয়া থানার ওসি রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী জানান, ‘পিটিয়ে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়েছে। দায়েরকৃত হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।