মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে একটি সেচ বাঁধ ভেঙে প্রায় ৮৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড় দেশটির সওয়ার ও ইয়েদাশি শহর ডুবে গেছে। এতে ৬৩ হাজারেরও বেশি লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় মিয়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
গত বুধবার দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় সওয়ার খাঁড়ির ওই বাঁধটি ভেঙে গেলে নেমে আসা পানির প্রবল তোড়ে সামনের গ্রামগুলো ভেসে যায়। তবে ওই দিনই দেশটির দমকল বাহিনী, সেনারা ও কর্মকর্তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
দেশটির সেচ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপমহাপরিচালক জাও লউয়িন তুন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পানি বের হওয়ার পথটির কারণেই বাঁধটি ভেঙে যায়। এমনিতে বাঁধটির অবস্থা ভালোই ছিল বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, বাঁধটির পানি ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৫০ একর-ফুট।
নোবেল হারাচ্ছেন না সু চি
মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির নোবেল কেড়ে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে নরওয়ের নোবেল কমিটি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর বুধবার নোবেল কমিটি তাদের এ সিদ্ধান্ত জানায়।
জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। গত সোমবার জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি জানায়, ব্যাপকহারে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
১৯৯১ সালে মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে শান্তিতে নোবেল পান অং সান সু চি। বর্তমানে দেশটির সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সু চি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সরকার রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে ব্যর্থ হয়েছেন এই নেত্রী। মিয়ানমার সেনাবাহীর বর্বর নির্যাতন থেকে বাঁচতে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সাত লাখের বেশি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম।
নরওয়ের নোবেল কমিটির সেক্রেটারি ওলাভ এনজোয়েলটাড জানিয়েছেন, পদার্থ, সাহিত্য, শান্তি বা যে কোনও ক্ষেত্রেই কাউকে নোবেল দেওয়া হয় তার অতীত কোনও অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতার লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ সু চি ১৯৯১ সালে এই পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের অনুমতি নেই বলেও জানান ওলাভ এনজোয়েলটাড। সূত্র: দ্য হিন্দু ও ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।