বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট-তামাবিল-জাফলং মহাসড়ক দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলির মধ্যে অন্যতম। তামাবিল স্থলবন্দর, জাফলং পাথর কোয়ারি ও দৃষ্টিনন্দন একাধিক ট্যুরিস্ট স্পট এসবই মহাসড়কটির গুরুত্বের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের কয়লা চাহিদার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ কয়লা আমদানি করা হয় এ সড়ক দিয়েই। এসব ছাড়াও মহাসড়কটি আরোও বিভিন্ন কারণে ব্যবহার হচ্ছে। এতো গুরুত্বের পরও দীর্ঘদিন সংস্কারহীন হয়ে বেহাল হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। বিগত প্রায় এক বছর যাবৎ মহাসড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিলেটের ব্যবসায়ী ও পর্যটন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বারবার সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কার্যত কোনো সমাধান হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সড়কটিকে চার লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দেয়া হলেও সেটিও আলোর মুখ দেখছেনা। এসব কারণে মহাবিপাকে আছেন মহাসড়ক ব্যবহারকারী সিলেটের ব্যবসায়ী ও দেশের নানা প্রান্তের পর্যটকরা। বিদেশী পর্যটকরাও শুধুমাত্র সড়কের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এই সড়কের লাগোয়া জনপ্রিয় পযটন স্পটগুলো থেকে। বিগত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাতে এ সড়ক সংশ্লিষ্ট পর্যটনস্পটগুলোতে আশানুরূপ সাড়া ছিলো না। যেসব পর্যটক গিয়েছিলেন তাদেরকেও বেশ ভোগান্তি পেরিয়ে পৌঁছতে হয়েছে।
আর এসব বিষয় থেকে সমাধান পেতে জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে সিলেটের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। সিলেট চেম্বার এন্ড কর্মাস ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার সিপার আহমেদ ব্যবসায়ীদের পক্ষে এ স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। ২৬ আগস্ট পাঠানো স্মারকলিপির অনুলিপি অর্থমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
সিলেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন ভারত থেকে পাথর, চুনাপাথর আমদানীর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ কনজ্যুমার আইটেম, খাদ্যদ্রব্য ভারতেও রপ্তানী হয়। মালামাল পরিবহনের জন্য সিলেট-তামাবিল এ মহাসড়কই একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম।
সিলেট চেম্বার এন্ড কর্মাসের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, আমদানি-রপ্তানীর পাশাপাশি পর্যটনের ক্ষেত্রেও মহাসড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মহাসড়কটি সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আহরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। জৈন্তাপুর হতে তামাবিল স্থলবন্দর পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। রাস্তায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে অচিরেই আমদানী-রপ্তানী বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পর্যটনস্পটগুলোও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।