বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লায় ‘অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়পত্র’ ছাড়াই চলছে বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে ওঠা প্রায় ২ শতাধিক হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অধিকাঙ্ক প্রতিষ্ঠান। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাঙ্কই বহুতল ভবনবিশিষ্ট। এগুলোতে যথাযথ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় যে কোন মুহূর্তে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা। বিশেষত এসব প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অপারেশন থিয়েটার (ওটি), ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ), করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের রোগীদের প্রাণহানির অধিক আশঙ্কা থেকে যায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত এক দশকে মাত্র ১২-১৫ টি হাসপাতাল ভবন অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়পত্র গ্রহণ করেছে। গত ক’য়েক বছর আগে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতায় আমরি হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৮৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই ঘটনার পর হাইকোর্ট (নম্বর ৩৮/১১) সুয়োমোটো জারি করে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা অবহিত করার নির্দেশ প্রদান করে। আদালতের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টনক নড়ে। অধিদফতরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে প্রত্যেকটি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়পত্র গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্দেশনার প্রায় ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নতুন করে অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়পত্র গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসে আবেদন করেনি। কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ছোট-বড় মিলিয়ে কুমিল্লায় ১২-১৫ টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়পত্র রয়েছে।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক জানান, আগের তুলনায় বর্তমানে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে নিয়ম ভাঙার অনেক দিনের অভ্যাস বদলাতে কিছুটা সময় লাগবে। খুব শিগগিরই কুমিল্লার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও ফায়ার ড্রিলসহ সামগ্রিকভাবে ফায়ার সেফটি সম্পর্কিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।