বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারে কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মারুফ খান (২১) নামের এক ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার ৭দিন পার হলেও পুলিশ হত্যাকান্ডের মূলহোতা মঞ্জুসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ আসামীরা মামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গছে, মামলার আসামীরা নিজেদের তরুণ লীগের কর্মী দাবি করতো। হত্যাকান্ডের মুলহুতা সাভার পৌর এলাকার তালবাগ মহল্লার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মঞ্জু। এলাকায় বখাটে ও উচ্ছৃঙ্খল হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত সে। বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগের সাভার পৌর শাখার নেতা হওয়ার চেষ্টাও করে। এজন্য সে গড়ে তোলে ১০/১৫জনের একটি গ্রুপ। যা মঞ্জু গ্রুপ নামে পরিচিত। এ গ্রুপের বিরুদ্ধে কাঁচা বাজারে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ রয়েছে। এ গ্রুপটি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলেও একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ। তবে মামলা হওয়ার পর থেকে এ গ্রুপের সবাই পলাতক রয়েছে বলে অনেকেই জানিয়েছে। মঞ্জুর বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ আওয়ামী তরুণ লীগের ঢাকা জেলার আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন খাজা সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ঈদের আগের দিন ২১আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের পাশে ছুরিকাঘাতের গুরুতর জখম হয় মারুফ খাঁন। পরে মুমূর্ষ মারুফকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মারুফ ছিল সবার ছোট ও আদরের। মারুফ সাভার পৌর এলাকার নামাগেন্ডা মহল্লার আতাউর রহমান খানের ছেলে। মেধাবী মারুফ চলতি বছর ঢাকার মিরপুর কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে।
পুলিশ জানায়, পরদির ২২আগষ্ট (বুধবার) সকালে নিহতের বড়ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক বাদি হয়ে তালবাগ ও টিয়াবাড়ি মহল্লার মঞ্জু, শ্যামল, প্লাবন, মমিন, শামীম, রইছ, আসাদুল, মুক্তাদিন, ইমরানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা জ্জ জনকে আসামী করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) অপূর্ব দাস জানান, কলেজ ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় জড়িত মুল হুতাসহ অনান্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে তারা পরিবারসহ পলাতক রয়েছে। এঘটনায় আসাদুল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে নিহতের ভাই লুৎফর রহমান খান মানিক বলেন, মামলার আসামিরা হেলমেট পরে মোটর সাইকেল নিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের তারা নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের সিসিটিভি রয়েছে। ভিডিও ফুটেজে পুরো ঘটনা স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত; ২০১৬ সালে সাভারের ব্যাংক কলোনী মহল্লায় এক স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এই আসামীরাই স্কুলের তিন শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করলে থানায় মামলা হয়। এরপরও তারা স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের ইভটিজিং করেই আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।