বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়ায় ভাড়াটিয়া বেশে অজ্ঞান করে বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যার ঘটনায় দুই দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনার সাথে জড়িত সেই মহিলাদের চিহিৃত করতে পারেনি পুলিশ। সংঘবদ্ধ চক্রের ৪-৫ জন মহিলা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতদের ছেলে ও তাদের পাশের ভাড়াটিয়ারা। ওই মহিলাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে ডেমরা থানা পুলিশ।
এদিকে বৃদ্ধ দম্পতি হত্যার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডেমরা থানায় ডিউটিরত অফিসার এসআই কাজী আরিফ গতকাল সন্ধ্যায় জানান, নিহতদের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামা মহিলাদের আসামি করা হয়েছে
এদিকে, গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহতদের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় বাবা-মায়ের লাশ নিয়ে যান ছেলে আমিনুল ইসলাম। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বিলাপ করে বলছিলেন, শনিবার যখন বাসা ভাড়া নিতে প্রথম ৪-৫ জন মহিলা এসেছিল, তাদের দেখেছেন। সবাই বোরকা পরা এবং মুখ ঢাকা ছিল। তার ধারণা ওই মহিলারাই রোববার আবার এসে বাসায় বাবা-মাকে একা পেয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
এদিকে মর্গ সূত্র জানায়, বিষ ক্রিয়ার কারণেই বৃদ্ধ দম্পতি মারা গেছেন। কোন কিছু খাইয়ে তাদের অজ্ঞান করা হয়েছিল। ফলে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নিহতদের পাকস্থলী থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাজধানীর ডেমরার সারুলিয়ার পূর্ব বক্সনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া বেশে ৪-৫ জন নারী ঢুকে বৃদ্ধ দম্পতি আব্দুস ছাত্তার (৭৫) ও সাহেরা বেগমকে (৬০) অচেতন করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। সন্ধ্যার দিকে তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত দম্পতির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। ঢাকার ডেমরা সারুলিয়ার পূর্ব বক্সনগর এলাকার একতলার নিজ বাড়িতে ৬টি ঘরের তিনটিতে বড় ছেলের সঙ্গে বসবাস করতেন এই দম্পতি। বাকি তিনটির মধ্যে দুটিতে ভাড়াটিয়া ছিল, অপর একটি রুম খালি ছিল। নিহত আব্দুস ছাত্তার বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহকারী ইমাম ছিলেন এবং সাহেরা বেগম ছিলেন গৃহিণী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।