নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোবিহীন রিয়াল মাদ্রিদ লিগ শুরু করেছে গেটাফের বিপক্ষে ২-০ গোলের অনায়াস জয় দিয়ে। বার্নাব্যুতে পরশু ঘরের মাঠে গোলের দেখা পেয়েছেন দানি কারবাহাল ও গ্যারেথ বেল। তার মানে কোচ হুলেন লোপেতেগির লিগ অভিষেক হলো জয় নিয়েই। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ ঠিকই উপলব্ধি করেছে রোনালদোর অভাব।
কিভাবে? এর প্রমাণ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারি। মৌসুমের প্রথম ম্যাচের দিকে এমনিতেই দর্শকদের আগ্রহ একটু বেশি থাকে। এরপরও এদিন বার্নাব্যুতে দর্শক হাজির হয় মাত্র সাড়ে ৪৮ হাজারের মত দর্শক। গত দশ বছরের হিসাবে যা সর্বনিম্ন! ফাঁকা গ্যালারিই বলে দিচ্ছিল- রোনালদো নেই, রোনালদো নেই!
দশ বছরের হিসাবটাও নিশ্চয় বুঝেছেন। ২০০৯-১০ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে মাদ্রিদের ক্লাবে নাম লিখিয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা। রিয়ালের তখন মন্দা দশা। ওদিকে ইতিহাসের সেরা সময় পার করছে মেসি-জাভি-পুয়েলদের নিয়ে গড়া চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী বার্সেলোনা। বার্নাব্যুতে গিয়ে রিয়ালকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এসেছে বার্সা। এরকম টানা পরাজয় দেখতে দেখতে ক্লান্ত বার্নাব্যুর দর্শকরা তখন ঘরের মাঠে খেলা দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তখনই ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনা পেরেজের এক চালে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়ে রোনালদোকে আনা হয় ক্লাবে। দর্শকও ভিড় করতে থাকে গ্যালারিতে। এরপর নয় বছরের হিসাবটা সবার জানা। রিয়ালকে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি লা লিগা জয়ের কারিগর ছিলেন রোনালদো। রিয়ালের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়ে আবারো দশ বছর আগে ফিরে যাওয়ার আভাস কি পেয়ে গেল রিয়াল? বেল-বেনজেমা-মড্রিচ-মার্সেলোদের মত বিশ্ব তারকাদের নিয়ে গড়া এই রিয়াল হয়ত বেশ শক্তিশালী। কিন্তু রোনালদোর সঙ্গে কি তাদের তুলনা চলে।
উপমহাদেশে এবার কোন টিভি চ্যানেলে লা লিগা ম্যাচ দেখাচ্ছে না। দেখার একমাত্র মাধ্যম ফেসবুক। সেই ফেসবুকেও দেখা গেল রিয়ালের খেলা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ কম। আগের রাতে একই সময়ে চলা বার্সেলোনার ম্যাচ ফেসবুকে দেখেছে প্রায় ৩৩ হাজার দর্শক। কিন্তু রিয়ালের খেলায় পরশু চোখ ছিল মাত্র সাত হাজার র্দশকের! এর বড় কারণ যে রোনালদো, তা না বললেও চলে।
রোনালদোহীন রিয়াল যে মন্দ খেলেছে ব্যাপারটা এমন নয়। স্কোরলাইন ভিন্ন কথা বললেও আধিপত্য দেখিয়েই জিতেছে তারা। ৭৮ শতাংশই বলের দখল ছিল তাদের অনুকূলে। তবে রোনালদো অনুপস্থিতিতে আক্রমণে যে তারা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি তা লক্ষ্যে রাখতে পারা মাত্র তিনটি শটই বলে দেয়। বেল ও মার্কো অ্যাসেনসিওকে বারপোস্ট গোল বঞ্চিত না করলে অবশ্য ব্যবধান বাড়তে পারত। তাদের সঙ্গে আক্রমণভাগে শুরুর একাদশে করিম বেনজেমাকে বেছে নেন লোপেতেগি।
২০ মিনিটেই বেলের ক্রস পাঞ্চ করে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক ডেভিড সোরিয়া। ফিরতি বল থেকে দারুন হেডে লোপেতেগির মুখে হাসি ফোঁটান কারবাহাল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে অ্যাসেনসিওর ক্রস থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন বেল। গেটাফে লক্ষ্যে একমাত্র শটটি নেয় ইনজুরি টাইমে। কিন্তু তা সহজেই প্রতিহত করেন কেইলর নাভাস। চেলসি থেকে আনা রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক থিবাত কোর্তেয়াকে বেঞ্চে বসিয়ে আইভোরি কোস্ট কোলরক্ষককেই মূল একাদশে বেছে নেন লোপেতেগি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।