রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নদীর একুল ভাঙে ওকুল গড়ে এইতো নদীর খেলা, চিরন্তন এ সঙ্গীতের ধারাবাহিকতায় নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বানারীপাড়ার জনপদ। বানারীপাড়ায় অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার করছে। সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে নদী পাড়ের গ্রাম নলশ্রী, শিয়ালকাঠী, নাজিরপুর, জম্বদ্বীপ, মসজিদবাড়ি, দান্ডোয়াট, খোদাবখশা, চাউলাকাঠী, কাজলাহার, কালির বাজার, ব্রা²নকাঠী ও বাইশারী গ্রাম। অধিকাংশ বিলীন হয়েছে জিরাকাঠী, উত্তকুল, ভৈসর, সোনাহার গ্রামগুলো।
এছাড়া উজিরপুর উপজেলার দাশের হাট, শিকারপুর, ভবানীপুর, মিয়ারহাট, নেছারাবাদ উপজেলার নান্দুহার, কুন্দিহার, ছারছিনা শরীফের পশ্চিমাংশ ইতোমধ্যে সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। কৌড়িখাড়াসহ কাউখালী উপজেলার বেশ কিছু গ্রামের অসংখ্য বাড়ি ঘর, স্কুল, কলেজ, বাজার, মসজিদ, মন্দির, দোকান পাটসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ইতোমধ্যে সন্ধ্যা গর্ভে হারিয়ে গেছে। ভাঙন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বিলুপ্তির আশংকায় রয়েছে সহস্রাধিক ঘর প্রতিষ্ঠান ও বন্দর। সন্ধ্যা তীরবর্তী হাজার হাজার মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রতিবেশীর বাড়িতে, আত্মীয়দের আশ্রয় এবং আশপাশে জেগে উঠা চরে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক ছুঁই তোলা নৌকায় জীবনের পশরা সাজিয়ে স্বপরিবারে সন্ধ্যার বুকে ভেসে জীবন যাপন করছে ক্ষতিগ্রস্থ অনেকেই। ঢাকা গিয়ে সদর ঘাটের খেয়া পাড়াপাড় করে জীবন ও জীবিকা চালাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, ভাঙনে বসতবাড়ি, চাষের জমি, মাছের পুকুর সব হারিয়ে এখন যাযাবারের ন্যায় জীবন যাপন করছে। ভাঙন কবলিত আশ্রয়হীন অসহায় এ মানুষগুলোর পূর্নবাসনের জন্য সরকারিভাবে বানারীপাড়ায় দুটি আশ্রায়ন প্রকল্প চালু হয়েছে। বর্তমানে একটি গুচ্ছগ্রাম ও একটি আশ্রায়ন কেন্দ্রে ১২০টি পরিবার আশ্রয় খুজে পাবে। ভূমিহীন ও সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের প্রয়োজনের তুলনায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা একেবারেই অপ্রতুল। অপরদিকে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে নদীর পাড়ের বাসিন্দরা। আরও কয়েকহাজার পরিবার তাদের ভিটে বাড়ি যে কোন মূহূর্তে বিলীন হতে পারে সন্ধ্যা নদী গর্ভে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ’র কর্মকর্তারা বিশাল আয়োজনে ইতি পূর্বে বেশ কয়েকবার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলেও পরিদর্শন পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রয়েছে। যা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনে তেমন কার্যকর ভূমিকা নেই। অপর দিকে নদী ভাঙনের বিপরিত পাড়ে জেগে উঠা বিশাল চড় ভূমি দস্যুরা রাজনৈতিক, প্রভাবশালী ও কতিপয় ভূমি অফিসের কর্মচারীদের সহযোগিতায় চড় দখল করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।