পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুষ্ক মৌসুমে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফুলজোড় এবং শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঠুটিয়া গ্রামে যমুনা নদীতে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। অসময়ে এ নদীভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে উল্লাপাড়ার বড়হর ইউনিয়ন ও শাহজাদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের দুই শতাধিক পরিবার। গত দুই সপ্তাহে ভাঙনে দুই স্থানে প্রায় ৫৫০ মিটার এলাকার ২০টি বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আশঙ্কায় অনেকেই ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত এলাকাবাসী জানায়, ফুলজোড় নদীর ভাঙন এরই মধ্যে ২৫০ মিটার এলাকা অতিক্রম করেছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িও। অনেকেই ভাঙনের ভয়ে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঠুটিয়া গ্রামে যমুনা নদীতে ভাঙনের তীব্রতা বেশি। এরই মধ্যে অন্তত ৩৫০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে তা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের তিয়রহাটি, আমডাঙ্গা ও নূরনগর গ্রাম এবং শাহজাদপুর উপজেলার ঠুটিয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই এ অঞ্চলে নদীভাঙন শুরু হয়। ১৫ দিনে ২০০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অন্তত ২০টি বসতভিটা ও কয়েকশ বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার তিয়রহাটি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, হঠাৎ নদীভাঙন শুরু হওয়ায় গ্রামের অনেক বাসিন্দা ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। প্রতি বছর নদীভাঙনের ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা ভিটেমাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জিয়া রহমান বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে ফুলজোড় নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙনও শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে আরো ২০-২৫টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নান্নু বলেন, আমি ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। অসময়ে নদীভাঙনের কারণে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলার ঠুটিয়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, যমুনা নদীর ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে আমাদের গ্রামের ১০টি বাড়ি ও প্রায় ৪০০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো ১০-১৫টি বাড়ি ও ২০০ বিঘা কৃষিজমি। একই গ্রামের দুজন গৃহবধূ বলেন, গত কয়েক দিনের ভাঙনে বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ভয়ে আমাদের গ্রামের অনেকেই বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি কমতে থাকায় হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কিছু ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। বাকি এলাকায়ও পর্যায়ক্রমে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।