পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : বন্যার পানি কমতে থাকায় মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় কালিগঙ্গা নদীর ভাঙনে বার্তা গ্রামের অর্ধশত বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকেই রাস্তাসহ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। নদী ভাঙনকবলিতরা এখনো সরকারি কোনো সাহায্য পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, সিঙ্গাইরের বার্তা গ্রামের আব্দুল আজিজ বিপুল টাকা খরচ করে স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সর্বনাশা কালিগঙ্গা নদী তার সবকিছুই গ্রাস করে নিয়েছে। এখন তার স্থান হয়েছে অন্যের বাড়িতে। এই গ্রামের হাজেরা বেগম নামে এক মহিলা ১৩ শতাংশ জমির ওপর এনজিও থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছিলেন। এই বাড়িতে তিনি সন্তানাদি নিয়ে বসবাস করতেন। শেষ সম্বল সে বাড়িটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে এখন সে সর্বসান্ত। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে আর কিছুই নেই। তারও স্থান হয়েছে অন্যের বাড়িতে। প্রতিদিন ৪-৫ বার নদীতীরে এসে ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। তার মতো ছালেহারও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তারও দাঁড়াবার কোনো স্থান নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনে বার্তা গ্রামের অর্ধশত বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙন রোধে সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেরাই বাঁশ ও গাছের ডাল ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে।
চান্দহুর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল জানান, আমি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যক্তিগত সহায়তা দিয়েছি। স্থানীয় এমপি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।