ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ভারতের মোদি সরকার সে দেশের আসামে বসবাসকারী ৪০ লাখ বাংলা ভাষাভাষী বিশেষ করে মুসলমানদের নাগরিকত্ব বাতিল ও বিতাড়নের চক্রান্ত করছে। এধরণের সিদ্ধান্ত অমানবিক ও আন্তর্জাতিক আইনেরও লঙ্ঘন। এরূপ চক্রান্ত কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কারণ রাষ্ট্র দলমত নির্বিশেষে সকল নাগরিকের। আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব ও মানবাধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। নাগরিকত্ব বাতিল ও বিতাড়নের অধিকার কোনো সরকারের নেই। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক ও নোংরা রাজনীতির মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত সব মানুষের প্রাকৃতিক অধিকার নাগরিকত্ব অস্বীকার করার মাধ্যমে মানবতা লঙ্ঘিত হয় এবং অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। তিনি বলেন, একমাত্র মানবতার রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থাই সব সংকটের সমাধান। সব মানুষের অধিকার-স্বাধীনতা-মর্যাদার ভিত্তিতে নিরাপদ-জীবন এবং শান্তিময় রাষ্ট্র ও দুনিয়া গড়ে তোলা যায়। তিনি বলেন, আসামের ৪০ লাখ বাংলাভাষী নাগরিকের বিশেষ করে মুসলমানদের নাগরিকত্ব হরণ করে মুদি সরকার গণতন্ত্র ও মানবতা লঙ্গন করছে। তাছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে গো হত্যার নামে মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। এটা চরম অমানিবক ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। অতএব বিশ্বের সর্বত্র মানবতার রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে মানবতাবাদী বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুদি সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, গাজী আতাউর রহমান, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ¦ আবদুর রহমান, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।