Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওসমানীনগর-বালাগঞ্জে কামারদের ব্যস্ততা

বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে আবুল কালাম আজাদ | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ওসমানীনগর-বালাগঞ্জের প্রতিটি বাজারের কামাররা ব্যস্ত সময় পর করছেন। একদিন পর ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাইয়ে ও মাংস বানাতে ছুরি, চাপাতি, দা, বটি ও কুড়াল খুব বেশি দরকার। কোরবানির আগে এসব উপকরণ হাতের কাছে না থাকলেই নয়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কামাররা নতুন ছুরি, দা, বটি তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এর পাশাপাশি পুরনো ছুরি, দা, বটি শানও দিচ্ছেন। তাদের কাজের চাপ এতো বেশি যে তাদের এখন যেন দম ফেলারও সময় নেই। সারাবছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারেরা দিনরাত কোরবানির পশু জবাই ও কাটার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি ও শাণ দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা বালাগঞ্জ বাজার, তাজপুর, দয়ামীর ও গোয়ালাবাজার এলাকায় অবস্থিত কামার গলি কদিন ধরে দিন-রাত কামাররা তৈরি করছেন কোরবানির গরু জবাই ও মাংস কাটার সরঞ্জামাদি। কারিগড়রা জানান, খয়লা ও জিনিসপত্রে দাম বেশি হওয়া দাম বেশি নিচ্ছেন।
নতুন একটি দা সাড়ে ৪শ টাকা থেকে সাড়ে ৬শ টাকা, ধামা ৮শ থেকে ১৮শ টাকা, বড় সাইজের ছোরা সাড়ে ৩শ টাকা থেকে ৪শ টাকা, বিভিন্ন সাইজের চাকু একশ টাকা থেকে ৩শ টাকা, বটি ৫শ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গোয়ালাবাজার এলাকার কর্মকার বাবুল ধর জানান, প্রযুক্তি নিত্য নতুন আবিস্কারের ফলে এ পেশায় এখন আগের মতো চাহিদা নেই। তবে কোরবানি ঈদ আসলে এ পেশার মানুষদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ঈদুল আযহার তথা কোরবানি ঈদের অপেক্ষায় থাকি। কাজ ভালো হচ্ছে ও বিক্রিও মোটামুটি ভালো।
গোয়ালাবাজার কামার গলিতে গেলে দেখা মেলে মির্জা সহিদপুর গ্রামের ক্রেতা শাহিনুর রহমান চৌধুরীর সাথে। তিনি পুরাতন ছাকু শাণ দিতে এবং নতুন ছাকু কিনতে বাজারে এসেছেন। জিনিসপত্রের দাম বেশি বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কামার


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ