পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা : আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই পবিত্র ঈদুল আযহা। আর এ ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মাধবদী থানা এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন হাট-বাজারের দা, চাকু, কুড়ালসহ লোহার যন্ত্র তৈরির কারিগররা। দিনের শেষে রাতেও বিরাম নেই কারিগরদের। সুন-সান আর ট্যুং-ট্যাং শব্দে মুখরিত এখন মাধবদীর কামারশালাগুলো। কামারদের এই ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে ঈদুল আযহা অতি সন্নিকটে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কেউ হাতুড়ি দিয়ে লোহা পেটাচ্ছে, কেউ হপার টানছে অথবা তৈরি করা সামগ্রীতে শান (ধার) দিচ্ছে। কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো থেকে শুরু করে গোস্ত কাটার কাজে ব্যবহার করা হয় কামারশালার বিভিন্ন শৈল্পিক সামগ্রী। মাধবদী গরু বাজারের ও সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের কামার পট্টির কারিগরদের যেন ব্যস্ততার শেষ নেই। অধিকাংশ দোকানেই নিজেদের তৈরি যন্ত্রপাতি বিক্রি করা হচ্ছে। তৈরি করা এসব দা, বটি, চাকু, কুড়াল কিনতেও দেখা গেছে ক্রেতাদের। অন্যান্য সময়ের চেয়ে ঈদুল আযহার সময় কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় কামার পট্টিতে। কারণ ঈদুল আযহার সময় পশু কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রচুর পরিমাণের দা, চাকু, বঁটি আর চাপাতির জোগান দিতে হয় এ কর্মকারদের। ঈদে শুধু চাকু বা চাপাতি দিয়েই কাজ শেষ হচ্ছে না। বছরের প্রায় সব সময়ই এ পণ্যের চাহিদা থাকলেও ঈদের সময়টিতে চাহিদা একটু বেশি থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে নতুন পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের চেয়ে অনেকেই পুরনো দা, বটি, ছোড়া, চাপাতি (সান) ধার করিয়ে নিতেই পছন্দ করেন। প্রায় ২৫ বছর ধরে এ লোহার যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন মাধবদী আনন্দী মহল্লার যতিন্দ্র কর্মকার। এছাড়া মাধবদী, শেখেরচর, পাঁচদোনা, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, আলগীসহ আশপাশের হাট বাজারগুলোতে রয়েছে যতিন্দ্র কর্মকারের মতো অনেক কর্মকার। পূর্বপুরুষের পেশা হিসেবে যতিন্দ্র কর্মকারের মতো অনেকেই যুক্ত আছেন এ পেশায়।
কর্মকার বাবুল দাস বলেন, প্রতিদিন দুই-আড়াই হাজার টাকা আয় হয়। তবে আমাদের মূল টার্গেট থাকে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে। প্রচুর পরিমাণে অর্ডার আসা শুরু হয়েছে। দীপক দাস কর্মকারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোহার এসব যন্ত্রপাতির কাঁচামাল কিনতে হয় ঢাকা শহরের নয়াবাজার, ধোলাইখাল থেকে যার মূল্য পড়ে কেজি প্রতি ৯০টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আর একটু ভালো মানের স্প্রীং লোহা কিনতে গেলে ২৫০/৩০০ টাকা হয়ে থাকে। এক কেজি লোহা থেকে তৈরি একটি দা বিক্রি হয় ৪৫০ বা ৫০০ টাকায়। তবে কামারেরা বলছেন তার উল্টো। তারা অভিযোগ করে বলেন, লোহার দাম এবং কয়লার দাম বেশি হওয়ায় মজুরি খরচ বাদ দিয়ে তেমন কিছুই থাকে না। তবে প্রতি বছর কোরবানীর ঈদ এলেই কিছুটা কদর বাড়ে কামারদের। এরপর থেকে বছরের অবশিষ্ট দিনগুলোতে অধিকাংশ কামারেরাই থাকেন প্রায় কর্মহীন। যেকারণে অভাব অনটনেই চলছে দরিদ্র কামারদের জীবন সংসার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।