Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যাত্রাবাড়ীতে স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ স্বামী জখম, অচেতন দুই সন্তান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৩৮ এএম

রাজধানীর যাত্রবাড়ীর একটি বাসা থেকে জ্যোৎস্না বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাসার পাশের দু’টি রুম থেকে তার স্বামী স্বপন মিয়াকে গুরুতর জখম অবস্থায় এবং তাদের দুই সন্তানকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গোলাপবাগ ২৮ নং ডিসি অফিসের পেছনের একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে। 

মৃতের স্বজনরা বলছেন, স্বপন আরেকটি বিয়ে করেছে সন্দেহে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলে আসছে। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জেরে দুই সন্তানকে অচেতন ও স্বামীকে জখমের পর জ্যোৎস্না আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
মৃত জ্যোৎস্নার চাচাতো ভাই আবদুল করিম জানান, সংবাদ পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই বাসায় গিয়ে এক রুমে স্বপনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। আর পাশের রুমে জ্যোৎস্না সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায়। তাদের ছেলে সাজিদ হোসেন ইপ্তি (১৪) এবং মেয়ে সানজিদা আক্তার জোহাকে (৭) অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জ্যোৎস্নাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইপ্তি ও জোহার পাকস্থলী ওয়াশ শেষে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। স্বপনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
স্বজনরা শিশু দু’টির বরাত দিয়ে জানায়, মা জ্যোৎস্না দুপুরের দিকে তাদেরকে পানি খাওয়ায়। এর পর তারা ঘুমিয়ে পড়ে। পরে কি ঘটেছে তার কিছুই জানে না ইপ্তি ও জোহা। স্বজনরা জানান, স্বামী স্বপন মিয়া আরেকটি বিয়ে করেছে- এমন সন্দেহ নিয়ে কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিলো তাদের মধ্যে। এ সন্দেহ ও কলহ থেকেই ঘটনাটি ঘটতে পারে।
ঢামেক হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক জানান, স্বপনের ঘাড়ে ৩টি, গলার নিচে ১টি ও বাম হাতে ১টি ধারালো অস্ত্রের গভীর আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আঘাতের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, সে নিজে নিজে এটি করতে পারেনি, অন্য কেউ তাকে আঘাত করেছে।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী জ্যোস্না তার স্বামীর হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করতে চায়। এর জন্য তার দুই সন্তানকে আগেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে নেয়। পরে যখন সে মনে করে তার স্বামী মারা গেছেন, ওই সময় নিজেও ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জানা গেছে, স্বপন মিয়ার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। বেইলি রোডে ইনফিনিটি মেঘা শপের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। দুই সন্তানের মধ্যে ইপ্তি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ৯ম শ্রেণিতে আর জোহা স্থানীয় একটি স্কুলের ২য় শ্রেণিতে পড়ে।
##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ