মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কেরালা রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। মারা গেছে আরো অনেক মানুষ। রাত ১০ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই রাজ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৩ হয়েছে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি ও উদ্ধার তৎপরতা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সন্ধ্যায় কেরালা যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ইতিমধ্যে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। গত ১শ বছরে এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি কেরালা। শুক্রবার এক বিবৃতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বন্যায় ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে দেড় লাখের বেশি মানুষ। বন্যায় প্রাণহানির পাশাপাশি সম্পদ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ওই রাজ্যের ১৪ জেলার ১৩ টিতেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে তিরুঅনন্তপুরমে পৌঁছেছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ৫ ইউনিট। রাজ্য জুড়ে উদ্ধার কাজে লেগে পড়েছে তিন বাহিনীর সদস্যরা। বন্যা উপদ্রুত গ্রামগুলোতে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ২৪ টিম। শুক্রবার কেরালায় এনডিআরএফ-এর আরও ৩৫টি টিম পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বন্দিপেরিয়ার থেকে বন্যা কবলিত মঞ্জুমালা গ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়েছে উপকূল রক্ষীবাহিনীর উদ্ধারকারী দলকে। ইতিমধ্যে ওই গ্রাম থেকে ১৬ জনকে উদ্ধার করেছে বাহিনী। উদ্ধার কার্যের পাশাপাশি ত্রাণ হিসাবে শুকনো খাবারও বিতরণ করা হচ্ছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই ভিজাইয়ান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পানিবন্দি মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক সংকেতে জানিয়েছে, আরও প্রবল বৃষ্টিপাতের আশংকা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সবাই এখন উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে। শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। উদ্ধার অভিযান নিয়ে তাদের মাঝে বিস্তারিত কথা হয়েছে। হঠাৎ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন নরেন্দ্র মোদি।
বন্যার পানি ক্রমশ: বাড়তে থাকায় শনিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কোচিন বিমানবন্দর। যাবতীয় কাজের জন্য ব্যবহার হচ্ছে কেবল তিরুঅনন্তপুরম এবং কালিকুট বিমানবন্দর। বন্যার কারণে ব্যাহত হচ্ছে রাজ্যের রেলওয়ে ও সড়ক যোগাযোগও। (পূর্ববর্তী খবর পৃষ্ঠা-৬) -দ্য ইকোনমিক টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।