বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও মেহের ঘোনা বিটের রিজার্ভ জমিতে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে জনতার উপর গুলি চালিয়েছে বন প্রহরীরা। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে মোস্তাক নামের এক যুবক। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে আহত হয়েছে বনবিভাগের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী। ভাংচুর ও লুট করা হয়েছে রাইফেল। এ নিয়ে এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।
গতকাল সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে চাঁন্দের ঘোনা উছিন্না মোরা এলাকায়। নিহত মোস্তাক আহমদ (৩৪) একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোছেনের পুত্র। জানা গেছে, নিহত মোস্তাকসহ আরো ৪/৫ জন লোক উচিন্না মোরা এলাকায় একটি পলিথিন দিয়ে ঝুঁপড়ি ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ঈদগাঁও মেহের ঘোনা বিট কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ খাঁনের নেতৃত্বে একদল বন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌছে ঝুঁপড়ি নির্মাণে বাধা দেয়। দু পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর মধ্যেই এলাকার আরো লোকজন যোগ দেয়। এক পর্যায়ে মোস্তাককে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে বিট কর্মকর্তা। তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে বনবিভাগের লোকজনকে ধাওয়া দেয় উত্তেজিত জনতা। এ সময় এলাকাবাসী ও বন কর্মকর্তাদের সাথে ২য় দফা সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে বিট অফিসের ৭জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত ও তাদের অস্ত্র লুট ও ভাংচুর হয় বলে দাবি করেন মেহের ঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়া। আহতরা হল মামুনর রশিদ খাঁন, শহিদুল ইসলাম সোহাগ,আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ ছবুর আলী, আনদু রশিদ, কাজী আবদুল মালেক, সমির চন্দ্র কর। আহতরা সবাই বন বিভাগের কর্মকর্তা। আহতরা বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। নিহত মোস্তাকের লাশ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিনো হহয়েছে। এছাড়াও পরিস্থিতি উত্তাপ্ত হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায়।
ঈদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম জানায়,তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গুলি করে মানুষ মারা কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনা যেহেতু ঘটে গেছে নিহত মোস্তাক আর ফিরে আসবে না। এই মুহুর্তে তার গর্ভবতী স্ত্রী ও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবী জানান।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে লাশের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরী করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের গলা,হাতে বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। বিট অফিস ও নিহত ব্যক্তির এলাকা পাশাপাশি হওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের স্বজন এবং সরকারী দায়িত্ব পালনে বাধা ও অস্ত্র ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বন বিভাগ পৃথকভাবে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।