২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে পরিবারে মাথাব্যথা নেই। ইন্টারন্যাশনাল হেডেক সোসাইটি ও সার্ভিকোজোনিক হেডেক সোসাইটির বিজ্ঞানীদের মতে, প্রায় ১৮ শতাংশ লোক মাথাব্যথায় ভুগে থাকেন। রোগীরা এই মাথাব্যথা বিভিন্নভাবে চিকিৎসকের কাছে বর্ণনা বা উপস্থাপন করেন। তরুণ-তরুণী থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা পর্যন্ত মাথাব্যথায় ভুগে থাকেন। আপনারা অবশ্যই জানেন, যুগ যুগ ধরে মানুষ মাথাব্যথায় ভুগে আসছেন। মাথাব্যথা মেডিক্যাল কন্ডিশনের একটি অন্যতম অসুস্থতা। এই মাথাব্যথা থেকে আমরা সবাই মুক্তি পেতে চাই। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, পাঁচ হাজার তরুণ-তরুণীর শতকরা ৩৩ জন দৈনিক পেইনকিলার নেন। এদের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। জরিপে বলা হয়েছে, এরা পেইনকিলার নেন সামান্য মাথাব্যথা ও মাংসপেশির ব্যথার জন্য। এসব নেন কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই। এসব পেইনকিলার হলো-অ্যাসপিরিন, প্যারাসিটামল, ইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন ও কক্স-২ ইনহিবিটর। এগুলো সহজলভ্য প্রেসক্রিপশন ছাড়াই যেকোনো ফার্মেসিতে চাইলেই পাওয়া যায় । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন এ ব্যাপারে চিন্তিত। কারণ তারা অপ্রয়োজনে এগুলো নিয়ে হার্টের ক্ষতিসাধন করছেন, হার্ট ফেইলিউর হচ্ছে, পাকস্থলীতে জ্বালা-যন্ত্রণা এবং হঠাৎ পাকস্থলী থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কিডনি অকেজো হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন পেইনকিলার ব্যবহারে লিভার আক্রান্ত হচ্ছে।
গবেষকেরা পেইনকিলারের অপব্যবহারের ক্লিনিক্যাল বিশ্লেষণ করেছেন, এসব ব্যথানাশকের প্রতিক্রিয়া কী বা পরিণাম কী? ওইসব ব্যথানাশক ওষুধে জ্বর ও ব্যথা কমে। তাই বেশির ভাগ গিঁটে ব্যথা ও মাইগ্রেন রোগী এসব বেশি ব্যবহার করেন। তারা জরিপে দেখেছেন, যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এসব দীর্ঘ দিন ব্যবহার করেন, তাদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ মারা যান হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকে। তবে এসব পেইনকিলারের মধ্যে ইবুপ্রোফেন ও নেপ্রোক্সেন কম ক্ষতিকারক। কিন্তু ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পেইন কিলার ব্যবহার মারাত্মক। পেইনকিলার নিলে হার্ট অ্যাটাক করতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিনা পরামর্শে পেইনকিলার নিলে হার্ট অ্যাটাক করতে পারে। কেননা এটা রক্তে প্রোস্টাসাইক্লিনের-এর মাত্রা হ্রাস করে, যা রক্তের অনুচক্রিয়াও কমায়। দীর্ঘ দিন পেইনকিলার ব্যবহারে এটা হয় । তা ছাড়া ধমনির আকার-আকৃতি পরিবর্তন করে হার্ট অ্যাটাক করতে পারে। স্ট্রোকও করতে পারে। যাদের আগে থেকে হৃদরোগ আছে, তাদের জন্য যখন তখন পেইনকিলার ব্যবহারে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে। কাজেই হৃদরোগীরা পেইনকিলার ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন। তবে নেপ্রোক্সেন কিছুটা কম ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পেইনকিলার নেয়া উচিত হবে না। তাই সবাই পেইনকিলার ব্যবহারে সতর্ক থাকুন।
সবশেষে এ সত্যটি মনে রাখুন-পরিমিত ও নিয়মিত আহার, ব্যায়াম, বিশ্রাম, নিদ্রা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সুস্বাস্থ্যের পূর্বশর্ত। আবার অতিরিক্ত তেল, চর্বি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
চিকিৎসক-কলামিস্ট
মোবা : ০১৭১৬২৭০১২০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।