নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ‘বি’ গ্রæপে পাকিস্তানের বিপক্ষে উড়ন্ত সূচনা। গ্রæপের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। এবার তাদের চোখ টুর্নামেন্টের ফাইনালে। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল দল খেলবে ‘এ’ গ্রæপ রানার্সআপ স্বাগতিক ভুটানের বিপক্ষে। ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এর আগে একই ভেন্যুতে বিকাল ৪টায় প্রথম সেমিফাইনালে ভারত মুখোমুখী হবে নেপালের।
টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গেল ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম আসরের ফাইনালে তারা শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে। এবারো শিরোপা জেতার লক্ষ্যেই লড়াই করছে লাল-সবুজের কিশোরীরা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর তারা দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। শেষ চারে অপেক্ষাকৃত দূর্বল ভুটান। তাই কোন শংকা নয়, নির্ভরতা নিয়েই আজ মাঠে নামতে চায় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। ম্যাচের আগে গতকাল সকালে থিম্পুর টিম হোটেলে জিম করে সময় কাটান মারিয়া মান্ডা- তহুরা খাতুনরা। বিকালে লাল-সবুজের কিশোরী দল অনুশীলন করে ম্যাচ ভেন্যু চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে। এবং রাত ৮টায় তারা হোটেলে টিম মিটিংয়ে আলোচনা করে সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে। জানা গেছে, ম্যাচের আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই রয়েছে বাংলাদেশ কিশোরী দল। তার নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে প্রস্তুত।
কাল অনুশীলন শেষে দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোট বলেন,‘আমাদের একটাই লক্ষ্য ম্যাচ জেতা। আমরা এখানে এসেছি টুর্নামেন্টের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিততে। লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে যাচ্ছে মেয়েরা। সেমিফাইনালে ভুটানকে হারিয়ে আরো এগিয়ে যেতে চায় তারা। তাদের চোখ ফাইনালে।’ তিনি আরো বলেন,‘দলের সব খেলোয়াড় সুস্থ আছে। কোন ইনজুরি সমস্যা নেই। মেয়েরা মুখিয়ে আছে ভুটানের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে। আমরা যেন সাফল্য পাই, এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’ দলের সহ-অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার আখি খাতুন বলেন,‘স্বাগতিক ভুটানের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আমরা খুবই সিরিয়াস। আমাদের লক্ষ্য একটাই, আর তা হলো ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়া। আমি আমার সেরাটাই মাঠে ঢেলে দিয়ে নিজেদের রক্ষণদূর্গ সামলে রাখবো। ভুটানী ফরোয়ার্ডদের কোন সুযোগ দেয়া চলবে না। গত বছর ঢাকায় প্রথম আসরে এই ভুটানের বিপক্ষে দু’টি গোল করেছিলাম আমি। এবারো গোল করার চেষ্টা থাকবে। ম্যাচ জিতে যেন ফাইনালে যেতে পারি এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি।’ আরেক ডিফেন্ডার নাজমা’র কথা,’ একটাই লক্ষ্য জয়। ভুটানকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে চাই। যদিও তারা স্বাগতিক এবং শক্তিশালীও বটে। তারপরেও আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়বো এবং জয় তুলে নেব। টুর্নামেন্টের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিততে হলে স্বাগতিকদের হারাতে হবে। ইনশাল্লাহ আমরা তা পারবো। সবার কাছে দোয়া চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।