পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কমিটি হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতাদের প্রটোকল দেয়া নিয়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও ঢাবি সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের কর্মীরা। শোক দিবসের আলোচনা শেষে ত রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের দুই অনুসারিকে থাপড়ানোর অভিযোগ উঠেছে সঞ্জিত চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। এ সময় সঞ্জিত ও তার অনুসারীরা সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে লাঞ্ছিত করেন বলেও অভিযোগ করেন তার অনুসারিরা। একপর্যায়ে উভয় গ্রæপের মধ্যে হাতাহাতি ও মৃদু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠানের অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিকে (প্রশাসন) এগিয়ে দিতে টিএসসি মিলনায়তন থেকে বের হন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। এ সময় তিন নেতার সঙ্গে তাদের অনুসারীরাও ছিলেন। একই সময়ে সঞ্জিত টিএসসি মিলনায়তনের ভিতরে ছিলেন। সঞ্জিত একটু বিলম্বে বের হওয়ায় অতিথিদের পাশে তিন নেতা ও তাদের অনুসারীদের ভিড় লেগে যায়। এ সময় সামনে আগাতে চাইলেও অন্য তিন নেতার অনুসারীদের কারণে সামনে আসতে পারছিলেন না। তাই তিনি কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে এগুতে চান। ফলে আগে থেকে গেটের মুখে উপস্থিত শোভন এর কর্মীদের সাথে তার কথাকাটাকাটি হয়। এসময় একুশে হলের শোভনের অনুসারী একজনের সাথে ধাক্কা লাগায় সঞ্জিত তাকে থাপ্পড় দেয়।
অতিথিরা বিদায় নেয়ার পর টিএসসির পায়রা চত্বরে কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনকে উদ্দেশ্য করে সঞ্জিত বলেন, ‘আপনার ছেলেদের কোন ম্যানার শেখান নাই? তারা আমাকে বের হওয়ার জায়গা দেয় নাই কেন?’ এ সময় স‚র্যসেন হলের আসলাম নামে শোভনের অনুসারী এক নেতা সঞ্জিতকে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘কী ম্যানার শেখাতে হবে?’ তখন সঞ্জিত আসলাম মুখে চড়-থাপ্পড় বসিয়ে দেন। এ ঘটনার পর উভয় গ্রæপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত করা হয় কেন্দ্রীয় সভাপতিকে। দীর্ঘ ১৫ মিনিট হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শেষে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, আমি আর শোভন ভাই কথা বলছিলাম। এসময় বাইরের কয়েকজন এসে সেখানে চিল্লাচিল্লি করছিল। আমরা তাদের চিনি না। পোলাপানের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়েছিল, তারা ওদেরকে সরিয়ে দিয়েছে। আমরা তাদের থামিয়ে দিয়েছি।
ঢাবি ছাত্রলীগ সেক্রেটারী সাদ্দাম বলেন, হাতাহাতিতে জড়ানোরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মী। তবে তিনি ঘটনাস্থলে তার উপস্থিতির বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করলেও ভিডিও ফুটেজের কথা বলার পর স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ওটা মনোমালিন্য ছিল হালকা। পরে ঠিক হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।