Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গরুর খামার করে সফল

ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে এস এম রাজ | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

গরু পালন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ঈশ্বরদীর সোহেল ডেইরি খামারের সফল গরু চাষি মো. আছাব আলী প্রামাণিক। তিনি ঈশ্বরদীর গরু চাষিদের আইডল হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। শুধু গরু খামার করেই বছরে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকা উপার্জন করেন। একজন ভালো মানুষ হিসেবেও তার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এই গরু খামারের উপার্জিত অর্থ থেকে তিনি গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য, কন্যা দায়গ্রস্থ বাবাকে এবং অসুস্থ রোগীদের আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন।
ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদার গ্রামের মৃত জফির উদ্দিন প্রামাণিকের ৯ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে মো. আছাব আলী প্রামাণিক চতুর্থ। শখের বসে তিনি ২০০৬ সালে নিজ বাড়িতে একটি গরু পালন শুরু করেন। সেই গরু থেকে বর্তমানে তার সোহেল ডেইরি খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টি গরু রয়েছে। গরু খামার করে আছাব সফল এবং ঈশ্বরদীর আইডল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। আছাব ঈশ্বরদীর একজন আদর্শ ও প্রতিষ্ঠিত মডেল গরুচাষি। আছাবের দেখাদেখি তার এলাকা ও আশপাশের বেকার যুবকেরা পরামর্শ নিয়ে গরু চাষ শুরু করেছেন। আছাব তার খামারের নাম দিয়েছেন সোহেল ডেইরি খামার।
গরুচাষি আছাব আলী প্রামাণিক জানান, ‘শখের বসে একটি গরু পালন শুরু করি। বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে আমার সোহেল ডেইরি খামারে ৪০টি গরু রয়েছে। মাসিক ১০ হাজার টাকা করে বেতনে তিনজন শ্রমিক নিয়মিত খামারে কাজ করছেন। আমার খামারের একটি এঁড়ে গরুর গোশত প্রায় ২০ মণ হবে। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি ভাবে পাঁচ বার গরু চাষের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।’ সাফল্যের বিষয়ে গরুচাষি আছাব প্রামাণিক বলেন, ‘দেশে বেকারত্ব দূরীকরণ এবং প্রোটিনের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করার জন্য এ পেশায় এসেছি। দেশের এবং জনসাধারণের কথা চিন্তা করে এ দেশের মানুষের পুষ্টির জোগান দিতেই বেকার যুবকদের গরু চাষে উৎসাহিত করে তুলেছি। একটু হলেও তো দেশের উপকারে আসতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি, এ দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকেরা সততার সাথে শ্রম দিয়ে গরু চাষ করলে চাকরি নামের সোনার হরিণের পিছু না নিয়ে একটু প্রশিক্ষণ নিয়ে গরু চাষে মনোনিবেশ করলে যেমনি এ দেশ থেকে বেকারত্ব কমবে, সেই সাথে দেশের গোশতের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে দুধের দাম কম এবং গরুর খাবার ও ওষুধের দাম অনেক বেশি। সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা পেলে দেশে দ্রুত গরুর খামার বৃদ্ধি পাবে এবং এই পেশায় বেকার যুবকেরা ঝুঁকবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মোস্তফা জামান বলেন, লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদার গ্রামের মৃত জফির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে মো. আছাব আলী প্রামাণিক গরুর খামার করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০০৬ সালে শখের বসে নিজ বাড়িতে একটি গরু পালন থেকে বর্তমানে তার সোহেল ডেইরি খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টি গরু রয়েছে। সোহেল ডেইরি খামারটি প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরামর্শ মোতাবেক পরিচালনা করে থাকেন। এভাবে নিয়ম মেনে চলতে থাকলে আরও বেশি ভালো করবেন বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গরু

২৪ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ