মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যটিতে ইতোমধ্যেই ১২০০-র বেশি গবাদি পশু মারা গেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এই রোগ আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে রাজ্য সরকার পশু মেলা নিষিদ্ধ করেছে। এর পাশাপাশি গবাদি পশুর জরিপ, চিকিৎসা এবং টিকাদানকে আরও জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের মোট ৩৩ জেলার মধ্যে ১৭টি জেলায় গবাদি পশুর শরীরে লাম্পি স্কিন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যটির কর্মকর্তারা বলছেন, রোববার পর্যন্ত গুজরাটে ১২০০-র বেশি গবাদি পশু মারা গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পশু মেলা নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি জরিপ, চিকিৎসা ও টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের কৃষি ও পশুপালন মন্ত্রী রাঘবজি প্যাটেল বলেছেন, শনিবার পর্যন্ত ভাইরাল এই রোগের কারণে গুজরাটে ১ হাজার ২৪০টিরও বেশি গবাদি পশু মারা গেছে। এছাড়া এই রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে ৫ লাখ ৭৪ হাজারেরও বেশি প্রাণীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলছেন, ‘ভাইরাল এই রোগের সংক্রমণ রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ১৭টিতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাদের বেশিরভাগই সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের।’ তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোর মধ্যে কচ্ছ, জামনগর, দেবভূমি দ্বারকা, রাজকোট, পোরবন্দর, মরবি, সুরেন্দ্রনগর, আমরেলি, ভাবনগর, বোটাদ, জুনাগড়, গির সোমনাথ, বানাসকাঁথা, পাটন, সুরাত, আরাবল্লী এবং পঞ্চমহল রয়েছে। এদিকে ভাইরাল লাম্পি স্কিন রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গুজরাট সরকার গত ২৬ জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশিত ওই নির্দেশনায় গবাদি পশুর চলাচল এবং পশুর মেলা আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, রাজকোট জেলা প্রশাসনের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত গবাদি পশুর ব্যবসা এবং মেলা আয়োজনের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যে, জেলায়, তালুকায় এবং শহরে গবাদি পশুর চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রশাসন উন্মুক্ত স্থানে (গবাদি পশুর) মৃতদেহ ফেলা নিষিদ্ধ করেছে।’ কৃষি ও পশুপালন মন্ত্রী রাঘবজি প্যাটেল জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি জেলার ১ হাজার ৭৪৬টি গ্রামে ৫০ হাজার ৩২৮টি ক্ষতিগ্রস্ত গবাদি পশুর চিকিৎসা করা হয়েছে। এদিকে, বিরোধী কংগ্রেস লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুর সঠিক সংখ্যা প্রকাশ না করার জন্য রাজ্য সরকারকে অভিযুক্ত করেছে। একইসঙ্গে গবাদি পশু হারানো কৃষকদের জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করেছে দলটি। টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।