Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনে রপ্তানিতে ৯৭ ভাগ শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা

লেটার অফ এক্সচেঞ্জ অনুমোদিত হলে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৩৯ এএম

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ডবিøউটিও‘র সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ চীনের কাছে লেটার অফ এক্সচেঞ্জ প্রেরণ করেছে, সম্মতি পাওয়া গেলেই বাংলাদেশ চীনের কাছে রপ্তানি পণ্যের ৯৭ ভাগে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে। ডবিøউটিও‘র সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে এ বাণিজ্য সুবিধা নিতে পারে। এ মহুর্তে বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের (আপটা) আওতায় চীনের কাছ থেকে ৫ হাজার ৭৪ টি রপ্তানি পন্যের উপর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে। লেটার অফ এক্সচেঞ্জ এর আওতায় বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করলে আপটার আওতায় চলমান বাণিজ্য সুবিধা আর থাকবে না। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে এফটিএ করার জন্য চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ইভয় দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এখন এফটিএ‘র সম্ভাব্যতা যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ চীনের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করবে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে চুড়ান্ত ভাবে উন্নীত হবে ২০২৭ সালে। তখন জিএসপি সুবিধা থাকবে না। এফটিএ করে পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে। চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তিবায়িত হচ্ছে। চীনের সাংহাইয়ে আগামী ৫-১০ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর্টার্স এক্সপো-২০১৮ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ এতে অংশ গ্রহণ করবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জাং ঝুয়া’র সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে উভয় দেশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে, বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে। চীন বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র এবং ব্যবসায়ীক ও উন্নয়নের অংশীদার। চীনের সহযোগিতায় পূর্বাচলে ৩৫ একর জমির উপর চীন-বাংলাদেশ এ´িবিশন সেন্টার নির্মিত হচ্ছে। আগামী ২০২০ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এর মোট ব্যয়ের সিংহ ভাগ চীন সরকার বহন করবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, চীন বাংলাদেশকে উচ্চমাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক চমৎকার। বাংলাদেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করে বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা শুরু করতে চায় চীন। বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। প্রাইভেট এবং জি টু জি ভিত্তিতে এ সকল কাজ চলছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন দেশের সংবিধান অনুযায়ি অনুষ্ঠিত হবে। আমি বিশ্বাস করি, বিএনপিসহ দেশের সকল দলের অংশ গ্রহনে এ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে, নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবে না। আমার ধারনা, বিগত সাধারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করে বিএনপি যে ভুল করেছে, সে ভুল এবার আর করবে না। সিলেটের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করেছে। সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি‘র না আসার কোন কারন দেখছি না। এখন আর কোন সংলাপের প্রয়োজন নেই।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু এবং এফটিএ‘র শাখার অতিরিক্ত সচিব মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ