নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসন্ন এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের লক্ষ্য মাত্র একটি জয়! গেমসকে সামনে রেখে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার আগে এমনটাই বলেছিলেন জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে।
আগামী ১৮ আগষ্ট ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও পালেমবাং শহরে শুরু হচ্ছে এবারের এশিয়ান গেমস। গেমসের ১৮তম আসর শেষ হবে ২ সেপ্টেম্বর। এবারের এশিয়াডে বাংলাদেশের অংশ নেয়া ১৪টি ডিসিপ্লিনের লক্ষ্য ও সম্ভাবনা নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপা হচ্ছে। যার দ্বাদশ কিস্তিতে আজ থাকছে ফুটবল।
যে কোন আন্তর্জাতিক আসরে ফুটবলারদের দিকেই চেয়ে থাকেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। যদিও বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই খেলাটিতে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে লাল-সবুজরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পেছাতে পেছাতে বর্তমানে ১৯৪তম স্থানে জায়গা হয়েছে বাংলাদেশের। তারপরেও ফুটবল নিয়ে আগ্রহের যেন লাল-সবুজের ভক্তদের। তারা চায় ধারাবাহিক না হোক অন্তত মাঝে মধ্যে হলেও ফুটবলে ছিটে-ফোটা সাফল্য পাক বাংলাদেশ।
দেশের ফুটবলের সেই আগের যৌবন আর নেই। ঘরোয়া আসরে ৯০’এর দশকেও যেখানে স্টেডিয়াম থাকতো দর্শকপূর্ণ, সেখানে বর্তমানে আবাহনী-মোহামেডানের মতো দলের ম্যাচেও গ্যালারী থাকে দর্শকহীন। কারণ দর্শকরা শ্রীহীন ফুটবল খেলা আর দেখতে চান না। গেল দু’বছর ধরে জাতীয় দলের অবস্থা বেশ নাজুক হলেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ২০১৬ সালে ভুটানের কাছে হারের পর প্রায় দু’বছর আন্তর্জাতিক কোন ম্যাচ খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ নিয়মিত হলেও অন্য টুর্নামেন্টগুলো এখন অতীত। বলা যায় হিমাগারেই। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেয়ার অবস্থায়ও নেই লাল-সবুজের ফুটবলাররা। সেখানে এশিয়ান গেমসের মতো বড় আসরে কি আশা করা যেতে পারে?
১৯৭৮ সালে ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে প্রথমবার ফুটবলে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এরমধ্যে ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ সাল ছাড়া এশিয়াডের ফুটবলে নিয়মিতই অংশ নিয়ে আসছে তারা। তবে সাফল্য উল্লেখ করার মতো নয়। এশিয়ান গেমস ফুটবলে এ পর্যন্ত ২৩ ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি ২০ ম্যাচ হেরেছে। সর্বশেষ জয়টি এসেছে গেমসের আগের আসর ইনচন এশিয়াডে। ২০১৪ সালে ওই আসরে আফগানিস্তানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার ইংল্যান্ডের অনভিজ্ঞ কোচ জেমি ডে’র তত্বাবধানে ২৪ সদস্যের ফুটবল দল খেলতে গেছে ইন্দোনেশিয়ায়। অন্যান্যবারের মতো এবারো কি ফল হবে তা অনুমেয়ই।
এশিয়াডে যাওয়ার আগে প্রস্তুতির কোন ঘাটতি ছিল না জামাল ভ‚ইয়াদের। দু’বার কাতার ও শেষবার দক্ষিণ কোরিয়ায় কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছেন তারা। প্রায় গোটা দশেক প্রীতি ম্যাচও খেলেছে বাংলাদেশ দল। জাকার্তা যাওয়ার আগে প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ায় গুয়াংজু এফসির কাছে হারলেও সেখানকার দু’টি বিশ্ববিদ্যাল দলকে হারিয়েছে লাল-সবুজরা। তাই এশিয়াডে মাঠে নামার আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছে জাতীয় দল। গেমসে অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেললেও তিনজন সিনিয়র খেলতে পারবেন। বাংলাদেশ দলের তিন সিনিয়র হলেন- মিডফিল্ডার জামাল ভ‚ইয়া, গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা ও ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। যারা অভিজ্ঞতার নিরিখে দলকে পরিচালনা করবেন মাঠে। প্রশ্ন হচ্ছে- ‘বি’ গ্রæপে তিন প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান ও কাতারকে খিবাবে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। কারণ এই দলগুলোর বিপক্ষে জয় তো দূরে থাক, প্রতিদ্ব›িদ্বতা গড়ে তোলারও সামর্থ্য নেই লাল-সবুজদের। তাই তো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে কোরিয়া যাওয়ার আগে একটি জয়ের প্রত্যাশা করে গিয়েছিলেন কোচ জেমি ডে। তিনি বলেছিলেন, ‘সাফের আগে এশিয়াডে একটি জয় আমাদের অনেক উদ্দীপ্ত করতে পারে। আমরা অবশ্যই জয়ের চেষ্টা করব। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও আমরা ভালো প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে জয়ের জন্য লড়বো।’
বাংলাদেশের ম্যাচ
তারিখ প্রতিপক্ষ
১৪ আগষ্ট উজবেকিস্তান
১৬ আগষ্ট থাইল্যান্ড
১৯ আগষ্ট কাতার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।