নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গতকাল সকাল থেকে আন্দ্রে রাসেলের চেয়ে বেশি সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বোলিং, ব্যাটিং, অধিনায়কত্ব বা ফিল্ডিং; ক্রিকেট মাঠে একজনের পক্ষে যা যা করা সম্ভব তার সবকিছুই করেছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। শুধু করেছেন বললে ভুল হবে। সব দিকেই দেখিয়েছেন সেরা কীর্তি, গড়েছেন অবিশ্বাস্য রেকর্ড। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বল হাতে হ্যাটট্রিক ও ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম তুলে ফেলেছেন রাসেল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে একই ম্যাচে হ্যাটট্রিক ও সেঞ্চুরি করতে পারেননি আর কেউই।
শুধু সেঞ্চুরি আর হ্যাটট্রিকেই সীমাবদ্ধ নয় রাসেলের কৃতিত্ব। ম্যাচের যে পরিস্থিতিতে তিনি করেছেন এই রেকর্ড তাতে এই অলরাউন্ডের কৃতিত্ব বেড়ে যায় আরো কয়েকগুণ। তবে রাসেলের এই অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়ার দিনে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে তার দল জ্যামাইকা তালাওয়াজ।
প্রথম ইনিংসের ১৯ ওভার শেষে ত্রিনিবাগোর সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ২১২ রান। শেষ ওভারে বোলিংয়ের দায়িত্ব নেন অধিনায়ক রাসেল। পরপর তিন বলে ফিরিয়ে দেন আক্রমণাত্মক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ডুয়াইন ব্রাভো ও দিনেশ রামদিনকে। তুলে নেন হ্যাটট্রিক। ত্রিনিবাগোর ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ২২৩ রানে।
এই রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে জ্যামাইকা। স্কোরবোর্ডে রান তখন মাত্র ৪১। সেখান থেকেই কেনার লুইসকে সাথে নিয়ে অবিশ্বাস্য পথ পাড়ি দেন রাসেল। মাত্র ৭৩ বলে এই দুজন গড়েন ১৬১ রানের জুটি।
মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করে সিপিএলের ইতিহাসের দ্রæততম সেঞ্চুরিয়ান হয়ে যান রাসেল। লুইসও তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। ৩৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কার মারে ৫২ রান করে ফেরেন লুইস।
তবে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই দম ফেলেন রাসেল। ৪৯ বলের ইনিংসে করেন ১২১ রান। সীমানার ওপারে বল আছড়ে ফেলেন ১৩ বার, গড়িয়ে সীমানা পার করান আরো ৬ বার। শুধু বাউন্ডারি থেকেই তিনি করেন ১০২ রান। ৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জ্যামাইকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।