বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্দিষ্ট সময়েও সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় লাখো মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা নৌকায় করে নদী পার হচ্ছে। ডাকাতিয়া নদীর ওপর দুই বছর ধরে নাঙ্গলকোটের সাতবাড়িয়া-বাঘেরঠাম এলাকায় সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নির্মাণাধীন সেতুটি ৬৫ মিটার লম্বা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স হাছান বিল্ডার্স অ্যান্ড জামান ট্রেডার্স’ ২০১৬ সালের শেষ দিকে সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। এতে ব্যয় হচ্ছে তিন কোটি ১২ লাখ টাকা। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের ১৩ জুনের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা।
অন্যদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও বিকল্প চলাচলের কোনো ব্যবস্থা করেনি। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় লোকজন নদীটির ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। কয়েক মাস সাঁকো দিয়েই নদী পারাপার হয় তারা। কিন্তু গত বছরের বন্যায় সাঁকোটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন তাই বাধ্য হয়ে নৌকায় করে নদী পার হচ্ছে। পারাপারের জন্য জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা রাখছে নৌকার চালকরা। আর ৩০ থেকে ৫০ টাকায় মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন পার করছে তারা। এভাবে প্রতিদিন নৌকা দিয়ে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান বলেন, স্থানীয় লোকজন বহুবার ঠিকাদারকে সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আবুল হাশেম, নুরুল আমিন মোল্লাসহ কয়েকজন সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাজমুল হাছান লিটনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাবেদ হোসেন বলেন, নদীতে পানি থাকায় কাজের সমস্যা হচ্ছে। পানি কমলে দ্রুত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দাউদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।