বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নিরাপদ সড়কের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটের জন্য পদ্মা সেতুর ৬ লেনের এপ্রোচ সড়ক। এ সড়কে ভারী যানবাহনের জন্য পৃথক ৪ লেন ছাড়াও রয়েছে হালকা যানবাহনের জন্য আলাদা ২ লেনের সড়ক, ওভার পাস আন্ডারপাসসহ নানান আধুনিক সকল সুবিধা। সাথে আইল্যান্ডে দৃষ্টিনন্দন সব গাছ গাছালি। সড়কটি উদ্বোধনের পর দুর্ঘটনা প্রবল এ অংশে গত ২ বছরে দুর্ঘটনার হার নেমেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়। যানবাহন চালক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবিদের দাবি সারাদেশে এ ধরনের মহাসড়ক নির্মাণ করা হলে হ্রাস পাবে দুর্ঘটনার হার।
সরেজমিন একাধিক সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতু সংযুক্ত সংযোগ সড়কটি দ্রæত গতির যানবাহনের জন্য পৃথক চার লেন এবং তার এক পাশে স্বল্পগতির গাড়ির জন্য ২ লেন মিলিয়ে মোট ৬ লেন নির্মাণ করা হয়েছে। দু বছর আগে কাওড়াকান্দি ঘাট কাঠালবাড়িতে স্থানান্তরের পর খুলে দেয়া হয়েছে পদ্মা সেতুর এই এপ্রোচ সড়কের শিবচর ও জাজিরা অংশের প্রায় ৮-১০ কিলোমিটার অংশ। এপ্রোচ সড়কটিতে যাওয়া আসার পৃথক ২ লেন করে ৪ লেন দ্রæতগতির ভারী যানবাহন চলাচল করে। এই ৪ লেনের মাঝের আইল্যান্ডজুড়ে লাগানো হয়েছে দেশী বিদেশী বাহারী ফুল গাছ। ইতোমধ্যেই ফুল ফুটে অপরুপ এক পরিবেশ মহাসড়কটি ঘিরে। আর একপাশে পৃথক ২ লেন দিয়ে চলাচল করে হালকা যানবাহন। এই ২লেনের সাথে জনসাধারনের চলাফেরার জন্য রয়েছে পৃথক লেন। সংলগ্ন বাজারগুলো ও স্ট্যান্ডগুলোতে নামা উঠার ব্যবস্থা শুধুমাত্র হালকা যানবাহনের লেনের মধ্যে সম্পৃক্ত। এছাড়া এই মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলাগুলোর আভ্যন্তরীণ যানবাহনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আন্ডারপাস, ওভারপাস। পদ্মা সেতুর জন্য নির্মিত এই পরিকল্পিত সড়কটিতে গত ২ বছরে দুর্ঘটনার হার নেমেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়। এই সড়কটির আদলে ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতু হয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সড়কের ২ লেন থেকে ৬ লেনে দেশের প্রথম এক্সপ্রেস হাইওয়ে উন্নীতকরনের কাজ চলছে দ্রæতগতিতে। এ প্রকল্পে ১টি রেলওয়ে ওভার ব্রিজ, ২টি বড় ব্রিজ, ৭টি ছোট ব্রিজ, ২টি ফ্লাইওভার, ১৬টি কালভার্টও থাকছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে আব্দুল মোনেম লিমিটেড, চায়না আনহুই কোম্পানী, চায়না হারবার, এনডিইসহ একাধিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বাস্তবায়নে পুরো সড়কটি বাস্তবায়ন করছে। সড়কের কাজ শেষ হলে রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবার পাশাপাশি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।
বাস চালক আলমাস হোসেন বলেন, কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে পা্চ্চঁর পর্যন্ত পদ্মা সেতুর এপ্রোচ রোডটির হালকা গাড়ি, ভারি গাড়ি আলাদা আলাদা লেন দিয়ে চলি। স্কুল, বাজার, বসতি সব কিছুই নিচের রাস্তা ব্যবহার করে। তাই দুর্ঘটনা হয় না।
কাঁঠালবাড়ি ঘাট ট্রাফিক ইন্সপেক্টর উত্তম কুমার শর্মা বলেন, সুপরিকল্পিত এপ্রোচ মহাসড়কটিতে পৃথক পৃথক লেনে ভারী ও হালকা যানবাহন চলাচল করায় এখানে দুর্ঘটনার হার খুবই কম। এই মহাসড়কটি ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এতে সড়ক দুর্ঘটনাও অনেকাংশে কমবে বলে মনে করি
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আহমেদ বলেন, রাস্তাটি ফোর লেন এবং পাশে দুটি সার্ভিস লেন রয়েছে। বাঁক দিয়ে নিরাপদ বেষ্টনি রয়েছে। যেখানে বাজার রয়েছে বা যেখানে মানুষ চলাচল করে সেখানে আন্ডারপাস বা সার্ভিস রোডের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি লেন আলাদা হওয়ার কারনে প্রতিটি যানবাহন তার নিজস্ব লেনে নিজস্ব গতিতে চলতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।