Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কিন প্রকল্প থেকে সরে গেল ভারত

চীনকে সন্তুষ্ট করতে-------

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৮, ১:০৫ এএম

এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নীতির প্রশ্নে নিঃশব্দ বদল এনে ‘চীন-বিরোধিতাকে লঘু করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারত’।
সিঙ্গাপুরে ১ জুন শাংগ্রি লা সংলাপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, এই মহাসাগরীয় অঞ্চলকে তিনি কখনওই ‘হাতে গোনা কিছু সদস্য দেশের কৌশলগত ক্ষেত্র বা ক্লাব’ হিসেবে দেখেন না। তখনই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল, চীনের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়েই মহাসাগরীয় নীতি তৈরি করা হবে।
সূত্রের খবর, ৩০ জুলাই জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকার উদ্যোগে ওই অঞ্চলেই পরিকাঠামো সংক্রান্ত যে প্রকল্প ঘোষণা হয়, তাতে থাকার কথা ছিল ভারতেরও। কিন্তু ওই প্রকল্প থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে ভারত।
কূটনৈতিক সূত্রের আরো খবর, সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ২+২-এর বৈঠকটি হতে চলেছে, সেখানে প্রসঙ্গটি ফের উত্থাপন করে ভারতের উপর চাপ তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই উদ্যোগে শামিল হতে বলা হতে পারে। সেখানে কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তার প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত।
এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে ত্রিপাক্ষিক প্রকল্পটি শুরু হল, তাকে চীনের ওবর প্রকল্পের পাল্টা হিসেবেই মনে করা হচ্ছে। এটা সত্য যে ভারত এখনও ঘোষিতভাবে ওবর-এর বিরোধী। কিন্তু একই সঙ্গে তারা এই মুহূর্তে নতুন করে এমন কোনও বার্তাও চীনকে দিতে চায় না যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আবার সঙ্কট তৈরি হয়।
উহানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকের পর থেকেই ডোকলাম-ক্ষতে প্রলেপ দিতে তৎপর হয়েছে ভারত। মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের একাধিপত্যের বিরুদ্ধে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে জোট বেঁধে নেতৃত্ব দান থেকেও ধীরে ধীরে পিছু হঠেছে মোদি সরকার।
শাংগ্রি-লায় তার বক্তৃতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি স্পষ্ট করে দেন, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কোনও বিশেষ দেশের (চীন) বিরুদ্ধাচরণ করা তার কাম্য নয়।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, ভারতের এই পরিবর্তিত অবস্থান ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর কাছে হতাশাজনক হলেও ভারত এক্ষেত্রে অনঢ়। ভোটের মুখে দাঁডড়য়েয়ে জাতীয় বাধ্যবাধকতার দিকটি বিবেচনা করে শক্তিশালী প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে নরম নীতি নিয়ে এগোনোটাই এখন বিজেপি সরকারের কাছে জরুরি।
অথচ গত নভেম্বরে সাড়ম্বরেই এই তিনটি দেশের (জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা) সঙ্গে চতুর্দেশীয় জোট গড়ছিল ভারত। উদ্দেশ্য ছিল, চীনের একাধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ‘মুক্ত এবং অবাধ’ এবং ‘আঞ্চলিক সংযোগকে শক্তিশালী’ করতে জাপান এবং জাপান-অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পৃথক আলোচনাও করেছিল ভারত। কিন্তু এরপরই চীনের সঙ্গে ধীরে ধীরে সম্পর্ক সহজ করার পথে হাঁটতে থাকে ভারত সরকার। সূত্র: আনন্দবাজার



 

Show all comments
  • অনিক ৯ আগস্ট, ২০১৮, ২:৩২ এএম says : 0
    কি হচ্ছে কিছুই বুঝতেছি না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ