ভরা বর্ষার শ্রাবণে নেই বৃষ্টি। অনেকটা অনাবৃষ্টিতেই অতিবাহিত হতে চলেছে শ্রাবণের শেষ সপ্তাহ। সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ভারতের দিকে কেটে গেছে। বর্ষার মৌসুমী নিম্নচাপ হয়নি। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে। এর ফলে মুষলধারে বর্ষণের বদলে গতকালও দেশের অধিকাংশ জেলায় ভ্যাপসা গরম পড়েছে। তীর্যক সূর্যের দহন ছিল দিনমান। বৃষ্টিপাত হয়নি বেশিরভাগ জেলায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয় অস্থায়ী ও বিক্ষিপ্তভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি কিংবা হালকা। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় নেত্রকোনায় ১৮ মিমি। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৫.৪ ডিগ্রি সে.। ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৩.৪ এবং সর্বনিম্ন ২৭.৪ ডিগ্রি সে.।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে উত্তর উড়িষ্যা এলাকায় মৌসুমী স্থল নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা ও সংলগ্ন ছত্রিশগড় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহকে দেয়া সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে।