Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বর্ষার আগেই তীব্র নদীভাঙন

২২ জেলায় ভাঙছে নদী প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলীনহচ্ছে : বাপা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

ভারতের ঢল আর টানাবৃষ্টিতে গত কয়েকদিন ধরে দেশের নদনদীর পানি বাড়ছে। এর ফলে বর্ষা আসার আগেই তীব্র হচ্ছে- নদীভাঙন। দেশের ২২টি জেলায় নদী ভাঙনে জমি-জমা, ঘরবাড়ি সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। যেসব জেলায় নদী ভাঙছে সেগুলো হচ্ছে- সিরাজগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ভোলা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ। এসব জেলায় রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) এক জরিপে বলা হয়, ভাঙনে প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়।
বর্ষায় নদীভাঙন স্বাভাবিক হলেও এ বছর তা বর্ষার আগেই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। এ বছর মে মাস থেকেই অনেকগুলো জেলায় নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের প্রবেশমুখ ও তিস্তা পাড়ের কুড়িগ্রাম থেকে শুরু করে গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলছে তীব্র নদীভাঙন। অন্যদিকে রাজবাড়ী থেকে শুরু হয়ে মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর পর্যন্ত পদ্মার দুই পাড়ের বাসিন্দারাও নদীভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে। এছাড়া চাঁদপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়া পর্যন্ত মেঘনা এবং এর শাখা নদীগুলোও ভেঙে নিচ্ছে ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলের মাঠ। অন্যদিকে ভারতের ঢলে সৃষ্ট বন্যার ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, ধনু, কংস, বিষনাই এসব নদী ভাঙছে, এতে নিঃস্ব হচ্ছে এসব নদীপাড়ের জেলাÑ সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার মানুষ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তলদেশ ভরাট হয়ে এবং দখল-দূষণে নদীর ধারণ ক্ষমতা অর্ধেকের চেয়েও কমে গেছে। এর ফলে অল্প ঢল ও বৃষ্টি হলে নদী পূর্ণ হয়ে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয় এবং ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এ ছাড়া নদীর গতি রোখার চেষ্টার কারণে নদীভাঙন ঘটে। নদীতে বাঁধ দেওয়া, অপরিকল্পিতভাবে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা নদী ভাঙনের এক অন্যতম কারণ। নদীর পাড়ের ঘাস, কাশবনসহ অন্যান্য বন উজাড় করে ফেললে মাটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পানির তোড়ে ভাঙন সৃষ্টি হয়। এছাড়া অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন বা ড্রেজিংয়ের কারণে ক্ষতির শিকার হয় নদী।
আমাদের সংবাদদাতারা বিভিন্ন জেলায় নদী ভাঙনের যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন নিম্নে তা তুলে ধরা হলো।
সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দ শামীম শিরাজী জানান, যমুনায় বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবং তার সঙ্গে দখিনা বাতাস ও ঝড়ো হাওয়ার দাপটে সিরাজগঞ্জ জেলার ৫টি নদী তীরবর্তী এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে যমুনা নদীতে অর্ধশত বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জের কাছে যমুনা নদীর পানি ৮ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে ফুলে ফেপে উঠেছে। শুরু হয়েছে যমুনায় তর্জন-গর্জন।
জানা গেছে, বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ও ভারতের ঢলে যমুনা নদী তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের আরকান্দি, ঘাটাবাড়ি, জালালপুর ও পাকুরতলা গ্রামের ব্যাপক নদীভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ৮ গ্রামে অন্তত ৫০টি বাড়িঘর যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এসব পরিবারে লোকজন সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব ও অসহায় হয়ে শিশু সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেল নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদ সরিয়ে নিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারের ত্রাণ তহবিল থেকে এদের সাহায্য সহযোগিতার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পরে এদের নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন করা হবে।
এদিকে টানা কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর থেকে আলীম আকন্দ জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চরপৌলী, উত্তর চরপৌলী, কালিহাতী উপজেলার আলীপুর, হাটআলীপুর, ভৈরববাড়ি, বিনোদলুহুরিয়া, কুর্শাবেনু গ্রামে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনার পূর্ব তীরে পাউবো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করায় এবং যমুনার মাঝখানে নতুন চর জেগে উঠার কারণে তীরে ভাঙনের তীব্রতা লক্ষ্য করা গেছে। এ বছর বর্ষার আগেই গত এক সপ্তাহে তীব্র ভাঙনে এরই মধ্যে অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। গত দুইদিনে ওই এলাকার তিন শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর সেতুর দেড় কিলোমিটার ভাটিতে নিউ ধলেশ্বরী নদীর মুখে (অফটেকে) পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৪টি পৃথক লটে ২৩৪ কোটি ২৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকায় ১ হাজার ৫৩০ মিটার গাইড বাঁধ (অফটেক বাঁধাই) নির্মাণ করে। যমুনার মাঝ বরাবর নতুন চর জেগে উঠায় পানির তীব্র স্রোতের ফলে গাইড বাঁধের ১ নম্বর লটের বিভিন্ন অংশে এরই মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। অফটেকের ভাটিতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে আলীপুর, হাটআলীপুর, ভৈরববাড়ি, বিনোদলুহুরিয়া, কুর্শাবেনু, চরপৌলী ও উত্তর চরপৌলী গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে মো. শওকত হোসেন জানান, জেলার লৌহজং উপজেলার মানচিত্রে ফের আঘাত হানছে সর্বনাশা পদ্মা। বর্ষার আগেই পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় হঠাৎ নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীতে উত্তাল ঢেউ আর প্রবল স্রোতের কারণে অসময়ের এই ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে পদ্মা নদী ঘেঁষা উপজেলার আশপাশের গ্রাম ও বসতভিটা। গত ১ সপ্তাহে এরই মধ্যে ২টি বসতভিটা বিলীন হয়েছে। সর্বনাশা পদ্মার ছোবলে প্রতিবছরই আঘাত হানছে, আড়াই লাখ জনসংখ্যার বসবাসরত লৌহজং উপজেলার মানচিত্রে।
আরিচা থেকে শাহজাহান বিশ্বাস জানান, এ বছর বর্ষা শুরুর আগেই শিবালয়ের পদ্মা-যমুনা নদীরপাড় এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে শিবালয়ের তেওতা, শিবালয় ও আরুয়া তিনটি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান। এরমধ্যে তেওতা ইউনিয়নের আলোকদিয়া, মধ্যনগর, চরবৈষ্টমী, চরগঙ্গা প্রসাদ ও ত্রিসুন্ডী এ কয়েকটি এলাকার বেশ কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এবছর ভাঙনের যে ভয়াবহতা দেখা যাচ্ছে, আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ তিনটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এবারের নদী ভাঙনে তেওতা ইউনিয়নের আলোকদিয়াসহ মোট ছয়টি গ্রামের প্রায় ৬০০ একর ফসলি জমি এবং ৬০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরুয়া ইউনিয়নের কুষ্টিয়া, নয়াকান্দি, মান্দ্রাখোলা ও মালুচী এলাকার নদীর পার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ফরিদপুর থেকে আনোয়ার জাহিদ জানান, জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে, ফরিদপুর সদর, সদরপুর, চরদ্রাসন, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা উপজেলার এলাকায়গুলো ভাঙনকবলিত এলাকা হিসেবে সরকারিভাবে ঘোষণা আছে। এরই মধ্যে ফরিদপুর সদর, সদরপুর, চরভদ্রাসন এলাকার পদ্মার নিকটবর্তী এলাকার ২-৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে অব্যাহত ভাঙন। সরকার ভাঙন ঠেকাতে চেষ্টাও করছে সাধ্যমতো। পাশাপাশি নদীর পানি কমে যাবার সাথে এই ভয়াবহ ভাঙনকবলিত উপজেলাগুলো তথা পদ্মাপাড় এলাকায়গুলোতে ভারত থেকে আসা বানের পলিতে পুরো পদ্মার বুকজুড়ে শত শত মাইল ডুবোচর জেগে উঠে। আবার কোথাও কোথাও পানির নিচে বিশাল আকৃতির চর জেগে উঠায় বহু নৌযান মাসেরও অধিক সময় আটকে পড়ে পদ্মার ডুবোচরে।
গত এক সপ্তাহ যাবত ফরিদপুর পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, মধুমতি, বাড়াশিয়া নদীতে পদ্মার নতুন পানি ঢুকতে শুরু করছে। এতে বাড়ছে নতুন করে ভাঙন আতঙ্ক।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে ফখরুল আহসান চৌধুরী জানান, বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে নদীর তীরবর্তী মানুষের আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা। যেকোনো সময় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে তলিয়ে যাবে ভিটেমাটি। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে রাত জেগে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছেন বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। এ বিষয়ে এরই মধ্যে প্রশাসন নিয়মতি মনিটরিং করছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতে এরই মধ্যে ফেলা হচ্ছে বালিবর্তী ব্যাগ। রাত জেগে বাঁধ পাহাড়া দিচ্ছেন এলাকাবাসী। এদিকে কুশিয়ারা নদী ঘেঁষা দীঘলবাক ইউনিয়নের মাধবপুর ও গালিমপুর বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি রয়েছেন ওই এলাকার কয়েক শতাধিক পরিবার। এরই মধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে তারা অবস্থান নিয়েছেন আশ্রয় কেন্দ্রে।
এ ছাড়া যমুনায় পানি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের দলিকার ও হাটবাড়ি চরের ৬০০ বাস্তুহারা পরিবার এখন দিশাহারা। একসময় চরের সচ্ছল কৃষক হয়েও নদীভাঙনে এখন তারা সহায়-সম্বলহীন। বর্ষা শুরু হতে না হতেই যমুনার ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় আশ্রয় হারানোর শঙ্কায় দিন কাটছে হাজারো মানুষের। বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্ট অতিরিক্ত স্রোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষার জন্য নির্মিত ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রায় ১০০ মিটার অংশের ব্লক ধসে গেছে।
ভোলা সদর উপজেলায় ইলিশা নদীর ভাঙনে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা ডুবে যাচ্ছে। উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোড়খাল থেকে চর মোহাম্মাদ আলী পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার নদীতীরে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। এ দীর্ঘ নদীতীরের ভাঙনে গত বর্ষা থেকে ১৫০টি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুহারা হয়েছে। ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আশঙ্কায় আছে আরও প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থানের ৪০ মিটার অংশ ধসে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরিষাবাড়ীতে ঝিনাই নদের ব্যাপক ভাঙনে ও ভারীবর্ষণে শিশুয়া-হেলেঞ্চাবাড়ির দেড় কিলোমিটার সড়ক পাঁচ মাস আগে বিলীন হয়ে গেছে। এতে দুটি গ্রামের দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ, দুটি মাদরাসা, চারটি মসজিদসহ নদের ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে।
পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। নদীতে স্রোত ও ঝড়ো বাতাসে এবার আগেভাগেই ভাঙন শুরু হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ঘাট এলাকায়। অথচ এই বর্ষা মৌসুমের আগেই দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটকে আধুনিক নৌবন্দরে উন্নীতকরণের কাজ শুরুর কথা ছিল। এখন পর্যন্ত তার কোনো গতি না দেখায় বর্ষার আগে কাজ শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সিলেটের সুরমা নদীর পানি বেড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় ২০০ ফুট জায়গা ধসে ভাঙনের কবলে পড়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত পীরপুর এলাকার অন্তত ২৫টি পরিবার। নদীভাঙন রোধে বাঁশ দিয়ে পাইলিং করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই স্থানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, আপাতত অস্থায়ী এ উদ্যোগ নেওয়া হলেও বর্ষা শেষে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বর্ষার

২৫ জুলাই, ২০১৬
১৯ জুলাই, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ