Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণে আগ্রহ হারাচ্ছেন নির্মাতারা

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

গত চার মাসে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণের জন্য একটি চিত্রনাট্যও জমা পড়েনি বিএফডিসির কমিটির কাছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন যৌথ প্রযোজনার চিত্রনাট্য যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেন। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় সর্বশেষ বালিঘর সিনেমার চিত্রনাট্যের অনুমোদন দিয়েছে যৌথ প্রযোজনার প্রাথমিক যাচাই-বাছাই কমিটি। আমির হোসেন বলেন, আমরা সবশেষ বালিঘর সিনেমাটির চিত্রনাট্যটির অনুমোদন দিয়েছি। গত কয়েক মাস হলো নতুন কোনো চিত্রনাট্য জমা পড়েনি। যৌথ প্রযোজনায় সচরাচর যে প্রযোজক ও নির্মাতারা সিনেমা বানান, তারা বলছেন, ২০১২ সালের নীতিমালা সংশোধন করে নতুন যে নীতিমালা করা হয়েছে, তা মেনে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা তৈরি করা সম্ভব নয়। আছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। সব মিলে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণে আগ্রহ হারাচ্ছেন প্রযোজকেরা। তাদের কথা, সংশোধিত নীতিমালায় যে শর্ত দেয়া আছে, সেগুলো সিনেমা নির্মাণে তৈরি করেছে প্রতিবন্ধকতা। তাছাড়া চিত্রনাট্য জমা দেয়ার পর মাসের পর মাস তা বিভিন্ন ধাপে আটকে থাকার কারণেও নিরুৎসাহিত হচ্ছেন প্রযোজকেরা। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত বø্যাক সিনেমার বাংলাদেশ অংশের প্রযোজক কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া বলেন, এত কঠিন শর্তের নীতিমালা মেনে যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব নয়। এর আগে জাজ মাল্টিমিডিয়া ভারতের এসকে মুভিজ ও জিতস ফিল্ম ওয়ার্কসের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় শিকারি, নবাব, বাদশা, বস ২-এর মতো বেশ কিছু সিনেমা নির্মাণ করেছে। বর্তমান যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তারাও যৌথ প্রযোজনায় কোনো সিনেমা নির্মাণ করবেন না বলে সিদ্ধানত্ নিয়েছেন। জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ বলেন, বর্তমান যে নীতিমালা করা হয়েছে, তা মেনে সিনেমা বানানো কঠিন ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী সিনেমার সবকিছুতেই দুই দেশের সমান অংশগ্রহণ থাকতে হবে, এমনটা মেনে কাজ করা সম্ভব নয়। কারণ, সিনেমার শূটিং চলার সময়ে চিত্রনাট্যে অনেক পরিবর্তন আসে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা তৈরি করব না। এদিকে গত এক বছরে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণের চেয়ে প্রযোজকরা ভারত থেকে বাংলা সিনেমা আমদানির দিকে বেশি ঝুঁকছেন। কিছু সিনেমা যৌথ প্রযোজনার নামে নির্মিত হলেও কলকাতার একক সিনেমা হিসেবে সেগুলো ঢুকছে বাংলাদেশে। গত কয়েক মাসে এভাবেই ইন্সপেক্টর নটি কে, চালবাজ, সুলতান: দ্য স্যাভিয়ার ও ভাইজান এলো রে এ দেশে মুক্তি পেয়েছে। আবদুল আজিজ বলেন, এখন আমদানি করে সহজেই কলকাতার সিনেমা এখানে মুক্তি দেয়া যাচ্ছে। তাই কঠিন নিয়ম মেনে যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের দরকার কী! তবে এ দেশে আমদানি করা ভারতীয় বাংলা সিনেমার মুক্তিও সীমিত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি খসড়া তৈরির কাজও চলছে বলে জানান আমদানি-রপ্তানি সিনেমার প্রিভিউ কমিটির সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি বলেন, আমদানির নামে ঢালাওভাবে এখানে সিনেমা আসতে পারবে না। মাসে অল্পসংখ্যক সিনেমা আমদানির অনুমোদন দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিনেমা নির্মাণ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ