প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : একজন চিন্তাশীল ও বুদ্ধিদীপ্ত নির্মাতা হিসেবে চলচ্চিত্রে পরিচালক পি এ কাজলের সুনাম রয়েছে। তিনি যে চলচ্চিত্রই নির্মাণ করেন না কেন, তাতে বিনোদনের সাথে শিল্পের অন্তর্নিহিত বিষয়গুলো সূ²ভাবে তুলে ধরতে চেষ্টা করেন। সামাজিক দায়বোধ, সচেতনতা সৃষ্টি ও মানবিকতার মতো বিষয়গুলো বিনোদনের মধ্য দিয়ে তার সিনেমায় প্রকাশিত হয়। ফলে একদিকে দর্শক যেমন সিনেমার বিনোদন পান, অন্যদিকে তাদের মধ্যে সচেতন হওয়ার চিন্তার উদ্রেক করে। চলচ্চিত্রে যে কয়জন নির্মাতা রয়েছেন, তাদের মধ্যে পি এ কাজল আলাদা এজন্য যে তিনি শিল্প-সাহিত্যের সাথে যেমন গভীর সম্পর্ক রাখেন, তেমনি চলচ্চিত্রে গল্প ও গানে তার প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টা করেন। গল্পে তার প্রতিফলন ঘটতে দেখা যায় বাণিজ্যিকভাবে নির্মিত সুপারহিট সিনেমা আমার প্রাণের স্বামী, এক টাকার বউ সিনেমাগুলোতে। বাণিজ্যিক ধারার মধ্যে থেকে তিনি আবার মুক্তিযুদ্ধকেও চলচ্চিত্রে তুলে ধরেছেন। তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মুক্তি’ সিনেমাটি তার স্বারক হয়ে রয়েছে। একজন পরিচালকের দায়বোধ থেকে তিনি একের পর এক ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে সিনেমা নির্মাণে নিয়োজিত রয়েছেন। এবার তিনি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন অটিস্টিক মানুষদের নিয়ে একটি চলচ্চিত্র। নাম দিয়েছেন ‘প্রজাপতি মানুষ’। সাম্প্রতিক সময়ে অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে সারাবিশ্ব ব্যাপী জনসচেতনতা গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সরকারও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এসব শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত করে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ বিষয়টিকে আরও বড় আকার দেয়ার জন্য পি এ কাজল বেছে নিয়েছেন তার চলচ্চিত্র মাধ্যমকে। ইতোমধ্যে সিনেমাটির পাÐুলিপি সরকারি অনুদানের জন্য জমা দিয়েছেন। পি এ কাজল জানান, প্রত্যেক মানুষেরই কাজের একটা উদ্দেশ থাকে। আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। দর্শককে আমোদিত করাই আমার মূল কাজ। তবে শক্তিশালী এই মাধ্যমটির বিনোদনের পাশাপাশি বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। একজন নির্মাতা হিসেবে আমি আমরা জয়গা থেকে কিছু দায়বদ্ধতা বোধ করি। আমার সিনেমায় তার প্রতিফলন ঘটাতে বরাবরই একটা চেষ্টা থাকে। কেবল সিনেমা বানালাম, অথচ তা সমাজ ও মানুষের কল্যাণের কোনো বোধ জাগ্রত পারল না, এ ধরনের সিনেমা আমার কাছে ব্যর্থ বলেই মনে হয়। বিনোদন অবশ্যই থাকবে, তবে এর মাধ্যমে যদি মানুষকে কিছু তত্ত¡ ও তথ্য দেয়ার অবারিত সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগটিই আমি কাজে লাগাতে চেষ্টা করি। অটিস্টিক মানুষদের নিয়ে যে সিনেমাটি নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছি, এতে একজন দর্শক যেমন বিনোদন পাবেন, তেমনি মানুষের প্রতি মানুষের যে দরদ থাকা দরকার এ বিষয়টিও উপলব্ধি করতে পারবেন। এটি কোনো প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নয়। পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধারার একটি চলচ্চিত্র, যাতে মনে দাগ কাটার মতো একটি গল্প রয়েছে। ইতোমধ্যে সিনেমাটির পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের কাজ শেষ করে এনেছি। আশা করছি, এ বছরই সিনেমাটির কাজ শুরু এবং শেষ করতে পারব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।