পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বাড়ি ঘিরে রেখে বাবা ও ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। গুলিতে আরেক ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের উজানী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উজানী পাড়ার সাবেক পাড়া প্রধান (কার্বারি) ক্যঅং প্রু মারমা (৬৫) ও তার ছেলে মংএ চিং মারমা (৩২)। গুলিতে আহত হন ছোট ছেলে মংপ্রু হা মারমা (২৩)।
খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এলাকাটি রুমা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়। ফলে লাশ উদ্ধারে সময় লাগছে।
পুলিশ ও নিহতদের পরিবার জানায়, পাড়ার বর্তমান কার্বারি মংরে অং মারমার সঙ্গে আধিপত্য নিয়ে দ্ব›েদ্বর জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা রাতে ক্যঅং প্রু মারমার বাড়ি ঘেরাও করে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে তাদের হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে বর্তমান পাড়া প্রধান মংরে অং পলাতক রয়েছেন।
পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে একদল লোক ক্যঅং প্রু মারমার বাসায় হানা দিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে ছেলে মংএ চিংকে ধরে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। আর অন্য ছেলে মংপ্রু হা মারমার পায়ে গুলি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
গতকাল শনিবার সকালে পাড়ার লোকেরা খবর দিলে সেখানে রুমা থানার পুলিশ গেছে। সাবেক পাড়া প্রধান ক্যঅং প্রু মারমার লাশ বাসায় পাওয়া গেলেও ছেলে মংএ চিং-এর লাশ পাড়ার পাশে একটি ঝর্ণার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
রুমা থানার ওসি শরিফুল হক দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, পাড়ার নতুন কার্বারি মংরে অং মারমার সঙ্গে ক্যঅং প্রু মারমার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। গত বৃহস্পতিবার পার্শ্ববর্তী একটি জুমে কীটনাশক ছিটানো নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
তাছাড়া পাড়ার এক স্কুলশিক্ষকে হত্যার ঘটনায় ক্যঅং প্রু মারমা বর্তমান পাড়া প্রধান মংরে অং-এর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। এ ঘটনায় গ্রেফতার হন মংরে। ক’দিন আগে তিনি জামিনে বের হয়ে ক্যঅং প্রুকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
ওসি শরিফুল হক বলেন, ‘সব ঘটনা তদন্ত করে হত্যার কারণ খুঁজে দেখা হচ্ছে। আর লাশগুলো উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।