নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ অভিযান শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এখানেই। ইচ্ছা ছিল সেন্ট কিটস থেকে জিতে ফ্লোরিডায় পা রাখা, যেন মনস্তাত্তিকভাবে এগিয়ে থাকা যায়। কিন্তু তা হয়নি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে তাই কাল ঘুরে দাঁড়াতেই হবে টাইগারদের। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকালে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দুটি জিনিসকে সহায়ক হিসেবে পাচ্ছেন মুশফিক-তামিমরা। প্রথমত, এখানকার আবহাওয়া, যা কিনা বাংলাদেশের মতই না শীত না গরম অবস্থা। দ্বিতীয়ত, প্রচুর বাংলাদেশি সমর্থক। ক্যারাবীয়ান দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে এমনিতেই জনবসতি কম। সেখানে প্রবাসী বাঙালির সংখ্যাও তাই হাতে গোনা দু’একজন। কিন্তু ফ্লোরিডাতে একেবারেই ভিন্ন চিত্র। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার বাংলাদেশের খেলা দেখতে অন্যান্য জায়গা থেকেও ছুটে আসছেন অনেকে। ঘরের মাঠের মতই তাই এখানে সমর্থকদের উপস্তিতি থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ তাই দারুণ উপভোগ্য হবে বলে বিশ্বাস সাকিব আল হাসানের। টাইগার দলপতির ধারণা, গ্যালারির সমর্থন নিয়ে শেষ দুই ম্যাচে উজ্জীবিত থাকবে বাংলাদেশ দল, ‘সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হওয়া উচিত। যেহেতু এখানে অনেক বাংলাদেশি দর্শক থাকবে, সবার জন্য মজার সময়ই থাকবে বলে মনে করি এই দুই ম্যাচে।’
সাকিবের জন্যও ফ্লোরিডা নিজের বাড়িও বলা চলে। তার পরিবার তো থাকে এখানেই। স্ত্রী শিশির আগে থেকেই এখানকার নাগরিক। জন্মসূত্রে নাগরিক হয়েছেন একমাত্র মেয়েও। নিজেও কদিন আগে পেয়েছেন আমেরিকান গ্রীন কার্ড। তাছাড়া ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগের সৌসন্যে ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল ব্রোওয়ার্ড রিজিওনাল পার্ক স্টেডিয়ামও ভালোই পরিচিত বাঁ-হাতি অল রাউন্ডারের। তবে লডারহিলে বৃহস্পতিবার অনুশীলনে গিয়ে এবারের উইকেট আগেকার চেয়ে ভিন্ন মনে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে, ‘শেষবার সিপিএলে এখানে যখন খেলেছি, তার থেকে উইকেট এবার বেশ আলাদা। অনুশীলনের পর বোঝা যাবে। আমরা যেহেতু পাশের উইকেটেই অনুশীলন করছি, ম্যাচের উইকেট খুব আলাদা হবে না এটি থেকে।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল মূলত ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। তামিমের মত অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের দায়ীত্বজ্ঞানহীণতার সঙ্গে যোগ হয় টাইগার ভক্তদের বিরক্তির প্রধাণ কারণে পরিণত হওয়া সৌম্য সরকারের ধারাবাহীক ব্যর্থতা। বাকিরা ভালো শুরু করেও এগুতে পারেননি। বলতে গেলে তাই লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলাফল? তিন উইকেটে হার। ব্যাটিংয়ের এই দুর্বল এই জায়গাতেই পরের ম্যাচে উন্নতি করতে চান সাকিব, ‘যেহেতু সুযোগ ছিল আরও রান করার, কয়েকটি কারণে করতে পারিনি, ওই জায়গাগুলোয় উন্নতি করতে পারলে আরও রান করা সম্ভব। উইকেট যদি আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো আচরণ করে, তাহলে বেশ বড় সংগ্রহই গড়তে হবে আমাদের।’
মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাদশে কারা থাকবেন এ নিয়ে পরিষ্কার কোন মন্তব্য করেননি সাকিব। তবে রোববার পরের ম্যাচে একাদশে কারা থাকবেন তা উইকেট দেখে ঠিক করবেন বলে জানান তিনি, ‘অনুশীলন করে, উইকেট দেখে আমরা ভাবব কেমন একাদশ হওয়া উচিত। কারণ দেখতে এক রকম হলেও অনেক সময় এক রকম হয় না। অনুশীলনের পর ভালো বলা যাবে। তবে দেখে যেটা মনে হলো গত বছরের চেয়ে একটু আলাদা হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।