বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসের সঙ্গে বিসিক অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৫৭ সালে বাঙালি শিল্প উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (ইপ্সিক) গঠন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকে ওই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) নাম ধারণ করে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন কার্যক্রম গতিশীল করতে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে। বিসিকের প্রচেষ্টায় বর্তমানে দেশব্যাপী বৃহৎ শিল্পের ভিত্ শক্তিশালী হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। শিল্পমন্ত্রী গতকাল বিসিকের নতুন বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন মাহমুদ ও বিসিকের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ তৌফিকুল হক বক্তব্য রাখেন। আমির হোসেন আমু বলেন, টেকসই ও গুণগত শিল্পায়নের লক্ষ অর্জনে বিসিক শুরু থেকেই সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। হস্ত ও কুটির শিল্পখাতে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসএমই শিল্পখাতকেও বিসিক কার্যক্রমের অন্তর্ভুুক্ত করা হয়েছে। বিসিক এখন লবণ ও মধু উৎপাদনের মত কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসারেও ভূমিকা রাখছে। বিসিকের সহায়তায় দেশে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প এবং প্রায় সাড়ে ৮ লাখ কুটির শিল্প রয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি দেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লাখ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য শিল্পখাতের কার্যকর বিকাশ জরুরি। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে অবদান রেখে চলেছে। এর ফলে জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদান ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এটি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বিসিকের নিজস্ব জায়গায় এ বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ৬২ কোটি টাকা। ১২তলা বিশিষ্ট এ ভবনের আয়তন হবে ১ লাখ ৫৭ হাজার বর্গ ফুট। ২০১৯ সালের জুন মাসে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।