Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রেখেছেন পাবনা বিসিক শিল্পনগরী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ৩:০৪ পিএম

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর পাবনা শিল্প নগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ। করোনা প্রতিরোধমূলক সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসকল কারখানা চালু রয়েছে যা এ শিল্পনগরীর কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।

পাবনা বিসিক শিল্প নগরীর সূত্রে জানা যায়, এখানে ছোট-বড় ২০৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে ১৬৭টি শিল্প কারখানা চালু রয়েছে এ শিল্পনগরীতে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় জীবনরক্ষাকারী ওষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালসের পাঁচটি ইউনিট পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত। ইউনিটগুলো হলো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ( প্রা.) লি. (কেমিক্যাল ডিভিশন), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি. (আয়ুর্বেদীক ডিভিশন), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি. (এগ্রোভেট ডিভিশন), স্কয়ার হারবাল এন্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস লি. এবং স্কয়ার ফার্মা প্যাকেজেস (প্রা.) লি.। দেশীয় বাজারে ঔষধ সরবরাহ করা ছাড়াও স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস ইউরোপ, আফ্রিকা ও আসিয়ানভূক্ত দেশসমূহে বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ওষধ রপ্তানি করে থাকে বলে জানা গেছে।

এ শিল্পনগরীতে বর্তমানে উৎপাদনরত অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে ১২০টি খাদ্য ও সহজাত (পশু খাদ্য) পণ্য যেমন- চাল, ডাল, সরিষার তেল, আটা- ময়দা, সুজি, সেমাই, পশু খাদ্য, ভূষি, খৈল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ১৪টি হালকা প্রকৌশল যন্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ৪টি সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ৪টি রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ২টি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য ধরনের বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান। শিল্পনগরী কর্মকর্তা কামাল পারভেজ জানান, বিসিক শিল্পনগরী পাবনাতে দৈনিক প্রায় ৫০০ টন চাল, ৩৫০-৪০০ টন বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং ৭-৮ টন সরিষার তেল উৎপাদিত হয় যা উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।

এছাড়া, পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে সরকার পরিচালিত একটি হাঁস-মুরগী খামার (হ্যাচারী) রয়েছে। হ্যাচারীটি থেকে বছরে বাচ্চা ফুটানোর জন্য প্রায় ৩ লাখ ডিম ও প্রায় ৩ লাখ ১দিনের মুরগীর বাচ্চা স্থানীয় মুরগীর খামারগুলোতে সরবারহ করা হয় যা স্থানীয় আমিষের চাহিদা পূরণে মূল্যবান ভূমিকা রাখছে।

পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শিল্পনগরীর উৎপাদনরত শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকগণ মাস্ক ব্যবহার করে ও প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছে। এছাড়া অফিসে বা কারখানায় প্রবেশের পূর্বে সকলে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাতকে জীবাণুমুক্ত করেছেন। পাবনা বিসিক শিল্প নগরীর পক্ষ হতে এ সকল কার্যক্রম সার্বক্ষনিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ শিল্পনগরীতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে একশ' ১০ দশমিক ৫৩ একর জায়গা নিয়ে যাত্রা শুরু করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বিসিকের এই শিল্প নগরী। পরবর্তীত, ২০১৬ সালে আরো ১৫ একর জমিতে এ শিল্প নগরী সম্প্রসারিত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ