চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, হযরত উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হলে তাগুতি ও খোদাদ্রোহী শক্তিগুলো এবং নাস্তিক-মুরতাদ গোষ্ঠীরা এক মুহূর্তও টিকতে পারবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নাস্তিক-মুরতাদগোষ্ঠী ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচারে নেমেছে। তারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের দাবি জানাতেও দ্বিধা করেনি। তাদেরই প্ররোচণায় সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা বিশ্বাস তুলে দিয়েছে। শরীয়তের অলঙ্গনীয় বিধান পর্দার বিরুদ্ধে আইন করতেও দ্বিধা করছে না বর্তমান সরকার।
১০ এপ্রিল বিকেলে কুমিল্লার হোমনার জামিয়া আরাবিয়া এমদাদুল উলূম মাদ্রাসা মিলনায়তনে ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলহাজ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা শরীফুল ইসলামের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি কাজী রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুফতী তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মানিক মিয়া, প্রিন্সিপাল মাওলানা মুতালিব খান, শায়খুল হাদীস মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামের অবস্থা বড়ই করুণ। ইমান ও ইসলাম নিয়ে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ছে। উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হলে ইসলাম, আল্লাহ, রাসূল (সা.) নিয়ে কটুক্তি করতে সাহস পেতো না।
পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ১ বৈশাখের নামে দেশময় অশ্লীলতা-বেহায়াপনা ও নগ্নতার ছড়াছড়িতে মুসলিম জাতিসত্ত্বাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মঙ্গল প্রদীপ, মাঙ্গলিক প্রতীক অঙ্কন প্রভৃতি আমদানি করা বিশেষ ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন করে তুলেছে। পহেলা বৈশাখের চেতনাকে কৌশলে ভারতমুখী করা হচ্ছে। এভাবে ভারতের সংস্কৃতির নামে আমাদের পৌত্তলিকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মুসলিম জাতিসত্ত্বার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটভিত্তিক চক্রান্ত চলছে। পহেলা বৈশাখ সেই চক্রান্তেরই ধারাবাহিকতার অংশ।
১২ এপ্রিল এক বিবৃতিতে পীর সাহেব আরো বলেন, ভিনদেশি সংস্কৃতি পোশাকে, আচরণে, চিন্তায়, বিচরণে ক্রিয়াশীল থাকা নববর্ষের আবাহন কদর্য্য হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আমাদের ভিনদেশি সংষ্কৃতি আমদানির মাধ্যমে সাংস্কৃতিকভাবে শেষ করে দেয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি চলছে। ভারতীয় আগ্রাসীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেশপ্রেমিক ইমানদার জনতার প্রতি আহ্বান জানান। মুসলমানদের জন্য পহেলা বৈশাখ উৎসব পালন করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কেননা মুসলমাদের আলাদা সংস্কৃৃতি তথা ইসলামী সংস্কৃৃতি আছে। কাজেই অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উসকে দেয়া যুব সমাজকে নিশ্চিত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, বিগত পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানগুলোতে নারী নির্যাতনের দৃষ্টান্ত বিদ্যমান।
ইনুর বক্তব্যের প্রতিবাদ
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বক্তব্য ‘ইসলাম নানা ধরনের উৎসবকে উৎসাহিত করায় পহেলা বৈশাখ পালনে মুসলমানিত্ব যায় না’, ইমান নষ্ট হয় না’ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, ইসলাম সম্পর্কে না জেনে মুর্খের মতো কথা বলে ইনু সাহেবরা ইসলাম সম্পর্কে নিজেদের বিরোধী মনোভাব জাহির করেছেন। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ মুসলমানদের কোন উৎসব নয়।
কাজেই এটাকে ইসলামের অংশ হিসেবে ফতোয়া দিয়ে নিজেকে মুর্খ হিসেবে তুলে ধরলেন তিনি। একজন মন্ত্রী হয়ে এভাবে মুর্খের মতো কথা বলা বেমানান। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখের নামে, মাঙ্গলিক প্রদীপ ও শোভাযাত্রা ইসলামবিরোধী কাজ। এ কাজ কোনো মুসলমান করতে পারে না। তথাকথিত ইনু সাহেবরা এটাকে জায়েজ বললেই জায়েজ হয়ে যাবে না এবং ভবিষ্যতে ইসলাম সম্পর্কে না জেনে উল্টাপাল্টা বক্তব্য বা ফতোয়া দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।