নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাকতালীয় ব্যাপার বুঝি একেই বলে! নয় বছর আগের কথা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ সফরটি শেষ করেছিল একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ৪৩। নয় বছর পর আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৪৩ রান তুলল তামিম-সাকিবরা। মজার ব্যাপার হচ্ছে মাঠটাও সেই এক- ওয়ার্নার পার্ক!
সেবার অবশ্য প্রথম ওভারে কেউ ফেরেনি। ফিরেছে দ্বিতীয় ওভারে, আজকের মতোই জোড়া আত্মাহুতি। ড্যারেন স্যামির করা দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফিরেছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। পরের ওভারে তামিম ইকবাল আর ষষ্ঠ ওভারে সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের গড়া ৯ উইকেটে ১১৮ রানের স্কোর বেশ সহজেই টপকে গিয়েছিল ‘দ্বিতীয় সারি’র ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল।
ক্যারিবীয়দের এবারের দলটা মোটেই ‘দ্বিতীয় সারি’র নয়; রীতিমতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তবে বাংলাদেশ দলও ২০০৯ সালের চেয়ে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। যদিও টি-টোয়েন্টিতে সেটির প্রতিফলন পাওয়া যায় খুব সামান্যই। তা না হলে তামিম আজ ইনিংসের প্রথম বলেই কীভাবে ডাউন দ্য উইকেট যেতে পারলেন? ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ফর্মে থাকার আত্মবিশ্বাস থেকেই কি এই আত্মাহুতি? ঠিক তার দুই বল পর সৌম্য সরকারের আউট নিয়েও প্রশ্ন থাকবে। স্পিনে যে তার পা চলে না, সৌম্য সেটি নিজেই সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।
নিজের প্রথম বলেই এই দুই ওপেনার আউট হয়ে ‘অনাকাক্সিক্ষত’ দুটি রেকর্ডের জন্ম দিলেন। তামিমকে দিয়েই শুরু করা যাক। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের প্রথম বলেই আউট হওয়ার ১৬টি নজির ছিল। এখানেও কাকতালীয় ব্যাপার, ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম বলে আউট হওয়ার নজিরও ১৬টি!
কিন্তু তামিম এদিন ম্যাচের প্রথম বলে আউট হয়ে ব্যাপারটিকে আর কাকতালীয় রাখেননি। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হলো, তামিম একটি জায়গায় এই ৩২ জনের চেয়ে আলাদা। এই ৩২ জনে কেউই তাঁদের দলীয় ইনিংসের প্রথম বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হননি, যেটি হয়েছেন তামিম। অ্যাশলে নার্সের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ব্যাটে-বলে সেভাবে করতে পারেননি। পরিণতি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ইনিংসের প্রথম বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে আউট হওয়ার নজির গড়লেন তামিম।
তামিমের এই ‘গোল্ডেন ডাক’-কে সৌম্য সরকার অন্য মাত্রা দিয়েছেন ঠিক তার দুই বল পর। নার্সের করা চতুর্থ বলে প্রথমবারের মতো স্ট্রাইকে যান সৌম্য। নিখুঁত লেংথের ডেলিভারিটি ব্যাক ফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড আউট হয়েছেন। অর্থাৎ একই ইনিংসে দুই ওপেনারই ‘গোল্ডেন ডাক’! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এমন নজির কী আর আছে? না, নেই। এই সংস্করণের ইতিহাসে প্রথম ওপেনিং জুটি হিসেবে একই ইনিংসে ‘গোল্ডেন ডাক’ মারার নজির গড়লেন তামিম-সৌম্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।