নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০০২ সাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৪ ওয়ানডে খেলে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। শুধু ওয়ানডে নয়, ব্যর্থতার চিত্র সব সংস্করণেই। ৬ টেস্টে খেলে হারতে হয়েছে সবকটি। একমাত্র জয়টি এসেছে টি-টোয়েন্টিতে, ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এই সংস্করণে বাকি ৩ ম্যাচে সঙ্গী পরাজয়। নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও সব সংস্করণ মিলিয়ে জয়খরায় ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সবশেষ সফরে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জিতে সেখানে প্রথম জয় তুলে নেয় দল। এবার এই ইতিহাস বদলানোর লক্ষ্য নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার উড়ানে চেপে বসবে দল। গতকাল মিরপুর শেরবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম ইকবাল বললেন, কাজটা কঠিন হলেও চ্যালেঞ্জ জয়ে তারা আত্মবিশ্বাসী, ‘দেখুন, ওয়ানডে ক্রিকেটে আমরা এমন একপর্যায়ে আছি, জেতা ছাড়া অন্য কিছু বলাটা আমার উচিত হবে না। অবশ্যই জেতার লক্ষ্য নিয়েই আমরা যাব। আবার এটাও সত্য, কাজটা কঠিন। ওখানে আমাদের রেকর্ডও তেমন ভালো না। কিন্তু রেকর্ড বিষয়টাই এমন, যেকোনো মুহূর্তেই তা পাল্টে যেতে পারে। এটার দারুণ উদাহরণ ছিল, নিউজিল্যান্ডে টেস্ট, যেখানে আমরা কোনো সংস্করণে ভালো খেললেও তা পাল্টাতে পেরেছি।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক সময় অলিখিত প্রথা ছিল, বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে ‘ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই’ বলে যাওয়া। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ‘ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই’ কথাটা চালিয়ে গেছেন অনেকে। তামিম এই প্রথা পাল্টে বললেন, ‘এটা না যে আমি কখনো বলে যাব, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই- ১০ বছর আগে হয়তো যেটা বলতাম। না, আমি অবশ্যই জিততে চাই ওখানে। সে জন্য যা যা করার দরকার করব। এরপর ফল পক্ষে এলে খুব ভালো, না হলে আমরা আরও কঠোর পরিশ্রম করব।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে যেহেতু এখনো জয় মেলেনি, তাই দলের মধ্যে জেতার আত্মবিশ্বাস কতটা সঞ্চার করা হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেছেন, ‘জিততে পারে, এটা কিন্তু আমরা বিভিন্ন সংস্করণে প্রমাণ করছি। নিউজিল্যান্ডের কথাই ধরুন, ৩০-৩২টা ম্যাচ আমরা জিততে পারিনি। কিন্তু ওই দলটা কিন্তু এটা পাল্টেছে। আশা করি, এই দলটাও (দক্ষিণ আফ্রিকায়) তা পাল্টাতে পারবে। আমি আমার দল নিয়ে একটা বিষয় বলতে পারি, সবাই বিশ্বাস করে আমরা ভালো করতে পারব।’
হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে শতক তুলে নেন তামিম। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সব মিলিয়ে করেন ৩১ রান। এ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। মাত্র তিন ম্যাচে রান না পাওয়ায় সমালোচনা খেলোয়াড়দের মানসিকতায় কতটুকু চাপ বিস্তার করে? এই প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেছেন, ‘নিজের পারফরম্যান্স ও ব্যাটিং নিয়ে আমি গর্ব করি। যখন রান করি না, তখন খারাপ লাগে। মানুষ কী বলছে না বলছে... এটা তো আলোচনা হবেই। এত দিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে একটা জিনিস শিখেছি, এমন সিরিজ আসবে, যেখানে আপনি ভালো খেলবেন না। আবার দেখবেন, টানা তিনটা সিরিজ ভালো খেলছে... আমি সব সময় একটা কথা বলি, কেউ যদি তিন-চার-পাঁচ ইনিংসে রান না করে, সে ফর্মের বাইরে চলে যায় না। আবার কেউ যদি ১০ ইনিংস পর এক ইনিংসে ভালো করে, সে কিন্তু ফর্মে এসে যায় না। আমি জানি, নিজের সময় এলে রান করবই।’
আফগান সিরিজে চিরায়ত এক দুর্বলতা বেশ মোটা দাগেই সামনে এসেছে তামিমের- ‘ফুট ওয়ার্ক’। তাই নিয়ে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গে বেশ জোরেশোরেই কাজ শুরু করেছেন বলে জানালেন ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘দু’দিন ধরে সিডন্সের সঙ্গে কাজ করছি ব্যাটিং নিয়ে। এ জন্যই এখানে (শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে) এসেছি। তিনি খুব সৎ মানুষ এবং খেলাটা খুব ভালো বোঝেন।’
ব্যাটিং ছাড়াও ওই দুটি সিরিজে খেলোয়াড়দের ফিল্ডিং নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তামিম, ‘দল হিসেবে আমরা ব্যাটিংয়ে হয়তো ভালো করতে পারিনি; কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে আমি অতটা ভাবছি না। ফিল্ডিং নিয়ে অবশ্যই ভাবনায় আছি। যেকোনো সংস্করণে ভালো করতে হলে ফিল্ডিংয়ে ভালো করতেই হবে। ফিল্ডিংটা আমাদের একটু সমস্যায় ফেলছে। এটার সমাধান করতে হবে। রাজিন ভাই এই সিরিজে ফিল্ডিং কোচ। তিনি দারুণ কাজ করছেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। ১৮ মার্চ প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৩০ মার্চ শুরু হবে প্রথম টেস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।