বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কেন্দুয়ার রিপন মিয়াকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার দায়ে একই পরিবারের তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, তৎসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা বুধবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, কেন্দুয়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মিসবাহ্ উদ্দিনের পুত্র দুলাল মিয়া (৩২) ও তার বড় ভাই বাবুল মিয়া (৪২) এবং বাবুল মিয়ার পুত্র রাশেদ মিয়া (১৯)।
আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, রামচন্দ্রপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিনের পুত্র রিপনের সাথে একই গ্রামের মিজবাহ উদ্দিনের পুত্র দুলালের পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। এরই জের ধরে বিগত ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে রিপন তার ভগ্নিপতি ছোয়াদ মিয়ার সাথে কেন্দুয়া বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে রামচন্দ্রপুর গ্রামের রাইস মিলের সামনে পৌঁছলে দুলাল ও বাবুল গংরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে রিপনকে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনায় জখমী রিপনের ভাই সাইফুল আলম তপন বাদী হয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর ১০ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। জখমী রিপন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ দিন পর মারা যায়। পুলিশ তদন্ত শেষে বেশ কয়েকজন আসামীর নাম বাদ দিয়ে ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশীর্ট দাখিল করলে বাদী পক্ষ না রাজী প্রদান করে। পরে পুলিশ ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর ৮ জন আসামীর বিরুদ্ধে পূনরায় চার্জশীট দাখিল করে। বিজ্ঞ বিচারক ১৪ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনান্তে ৩ জন আসামীর বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণীত হওয়ায় তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং মামলার অপর ৫ আসামীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি(চলতি দায়িত্বে) সাইফুল আলম প্রদীপ আর আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড্ভোকেট এমদাদুল হক শাহ্।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।