ভারতের রাজধানী দিল্লির বুরারিতে একই পরিবারের ১১ সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের রহস্যের জট না খুলতেই এবার ঝাড়খন্ড ফের একই কান্ড ঘটেছে। রাঁচির একটি বাড়িতে পাওয়া গেছে একই পরিবারের ৭ সদস্যের লাশ। তাদের মধ্যে ৭ ও ৪ বছরের দুটি শিশুও রয়েছে। পুলিশ জানায়, রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। একটি বড় প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা দীপক কুমার ঝা তার বাবা-মা, স্ত্রী, দুই সন্তান ও ভাইকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর্থিক টানা পড়েনের জেরেই তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করছে পুলিশ। রাঁচিতে তাদের ভাড়া করা বাড়িতে লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। তার মধ্যে দীপক ও তার ভাইয়ের লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। দীপকের বাড়িওলা এ. মিশ্র বলেন, ৪০ বছরের দীপক নিজের ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন। সেজন্য তিনি বড় অংকের ঋণ নিয়েছিলেন। তার বছর তিরিশের ছোট ভাই রুপেষ ঝা বেকার ছিলেন। দীপকের বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ের লাশ বিছানার উপর পড়েছিল। এখন পর্যন্ত কোনো সুইসাইড নোট খুঁজে পায়নি পুলিশ। আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। ঝাড়খন্ড রাজ্যে গত ১০ দিনে এটি গণআত্মহত্যার দ্বিতীয় ঘটনা। এনডিটিভি।