গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় টানা তৃতীয় দিনের মত রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাজমুল আলম জানান, রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা আজও সকাল ১০টার র্যাডিসন হোটেলের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এর পরপরই ফার্মগেইট বাবুল টাওয়ারের সামনে স্থানীয় কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে যান চলাচল থমকে যায় বলে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান। অতিরিক্ত উপ কমিশনার নাজমুল আলম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। কোনো গণ্ডগোল এখনও হয়নি। আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম। ঘটনার পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এ ঘটনায় দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম রোববার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়। ওই ঘটনায় সোমবারও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের এলাকায় শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের দুই দিক অবরোধ করে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখায়। এছাড়া গভার্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা মিরপুর সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে তাদের তুলে দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।