Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভোটের রাতে তিন সিটিতে সিল মারার চেষ্টা হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

খুলনা-গাজীপুরের মতো তিন সিটিতেও ভোটের আগের রাতেই ক্ষমতাসীনরা সিল মেরে দেয়ার চেষ্টা করবে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, কাউকে গ্রেফতার না করতে নির্বাচন কমিশন, উচ্চ আদালের নির্দেশ মানছেনা পুলিশ। কিন্তু বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এজেন্টদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ঘর ছাড়া করা হচ্ছে। যাতে নির্বাচনের দিন প্রার্থীরা তাদের এজেন্টদেরকে খুঁজে না পায় এবং ভোটের আগের রাতেই নিজেদের মতো করে সিল মারা যায়। এধরণের ঘটনা ঘটেছিল খুলনা ও গাজীপুরে। আসন্ন তিন সিটির নির্বাচনেও তারা এ কাজটি করবে।
গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন নিরোপেক্ষ সরকারের দাবিতে’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে কীভাবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে প্রশ্ন তুলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, নির্বাচনে যদি সরকারি দল ছাড়া আর কেউ অংশগ্রহণ না করে তাহলে তো আর অংশগ্রহণম‚লক নির্বাচন হবে না। এই সরকার পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে এই ভোট ছিনতাই করতে চাচ্ছে। ডাকাতি করে ভোট নিয়ে যাওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এই তিন নির্বাচনে আমরা দেখতে চাই যেন জনগণ নিজের হাতে ভোট দিতে পারে। আমরা মনে করি জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একদিন রাস্তায় নামবে। আমরাও জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে রাস্তায় নামবো। বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দুইটি পথ আছে- একটি হলো গণআন্দোলন, অন্যটি ভোটযুদ্ধ। এই দুইভাবে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো হবে। ভোট যুদ্ধের আগে আমাদের আন্দোলন করতে হবে। গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে। পরবর্তীতে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে জনগণ তাদের পরাজিত করবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন অংশগ্রহণম‚লক নির্বাচন হয় তখন সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন হয়। আমাদের সুশীল সমাজ, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সকলে চায় একটি অংশগ্রহণম‚লক নির্বাচন। এই অংশগ্রহণম‚লক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। কারণ খালেদা জিয়া ও ২০ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশে কোনো অংশগ্রহণম‚লক নির্বাচন হতে পারে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি। সেটা ছিল বয়কটের নির্বাচন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ২০ দল ও দেশের ইসলামপন্থী সকল দল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করেছিল। সরকারের সমালোচনা করে মোশাররফ হোসেন বলেন, লাখ লাখ টন কয়লা উধাও হয়ে গেল। এটা তো একটা ব্রিফকেসে করে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো জিনিস না। প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তিনি ও প্রতিমন্ত্রী কেউ এবিষয়ে কোনো কথা বলছেন না। এর মানে হল- তাদের মধ্যে কোনো চেইন অব কমান্ড নেই।
ন্যাপের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।



 

Show all comments
  • M ২৯ জুলাই, ২০১৮, ৯:২৬ এএম says : 0
    Karsupite ki hobe allah tho sob dektesen. Okএখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ