বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ গ্যাস বন্ধ করে দেয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন চট্টগ্রাম নগরবাসী। খাবারের জন্য রীতিমত হাহাকার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় মানুষের দীর্ঘ লাইন। গতকাল (শুক্রবার) ছুটির দিনে এমন দুর্যোগময় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় নগরবাসীকে। বাসায় চুলা জ্বলেনি, হোটেল-রেস্তোরাঁয়ও মিলেনি খাবার। এ অবস্থায় শুকনো খাবার খেয়ে দিন পার করতে হয়েছে অনেককে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কথা বলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড গতকাল সকাল থেকে নগরীতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে করে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। ছুটির দিন হওয়ায় সকালে অনেকে বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছেন। রান্নাঘরে গিয়ে দেখেন গ্যাস নেই। অনেক এলাকায় দিনভর বিদ্যুতের আসা-যাওয়া খেলা চলেছে। গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্না হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় বিকল্প উপায়ে রান্না করা যায়নি। গ্যাস আসবে এ অপেক্ষায় বসেছিলেন অনেকে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও গ্যাসের খবর নেই। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হোটেল-রেস্তোরাঁয় মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। গ্যাস না থাকায় বেশিরভাগ হোটেলে চুলা জ্বলেনি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিকল্প চুলায় হোটেলগুলোতে রান্না হলেও তা ছিল চাহিদার তুলনায় কম। জুমার পর নগরীর আগ্রাবাদ, কদমতলী, লালদীঘি পাড়, নিউমার্কেট এলাকার হোটেলগুলোতে প্রচÐ ভিড় দেখা যায়। খাবার না পেয়ে খালিহাতে ফিরেছেন অনেকে। মুড়ি, বিস্কুট, পাউরুটিসহ শুকনো খাবার কিনতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আগাম ঘোষণা ছাড়াই এভাবে গ্যাস বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষুব্ধ হন নগরবাসী। লোকজনকে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। তারা বলেন, ডিজিটাল যুগে গ্যাস বন্ধের খবর গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো জটিল কিছু না। অথচ কর্তৃপক্ষ অখ্যাত কিছু পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের দায়িত্ব সেরেছে।
কেজিডিসিএল কর্মকর্তারা বলছেন, ফৌজদারহাট থেকে পুরো চট্টগ্রামে প্রধান সংযোগস্থলে কাজ চলছে। তাই তিন দিন এ গ্যাস সংকট দেখা যেতে পারে। উচ্চচাপ বিশিষ্ট চট্টগ্রাম রিং-মেইন গ্যাস লাইন অন-স্ট্রীম অপারেশন শেষ হতে তিনদিন লাগবে। বিষয়টি জানিয়ে ইতোমধ্যে পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তবে ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে আবাসিক খাতে গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোন ঘোষণা ছিল না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময়ে গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বিঘিœত হবে, সার কারখানা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার প্রয়োজন হবে। বাসা-বাড়িতে স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও সকল ধরনের শিল্প-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ সীমিত রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, নগরীর অর্ধেকের বেশি এলাকায় বাসা-বাড়িতে গ্যাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। হালিশহরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, রাতে কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ চালু হতে পারে। তবে আজ শনিবার নগরীর উত্তর অংশে গ্যাস সংযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।