রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লার তিনটি সরকারি কলেজে ছাত্রসংসদের কার্যক্রম নেই। প্রায় একুশ বছর ধরে নির্বাচন নেই, কিন্তু কাগজ-কলমে ছাত্রসংসদ রয়েছে। আর তাই প্রতিবছর ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীরা ছাত্রসংসদ খাতে বাধ্যতামূলক ফি প্রদান করছে। গত ২১ বছরে শিক্ষার্থী প্রতি ২৫ টাকা হারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ ও কুমিল্লা সরকারি কলেজের ছাত্রসংসদ খাতে জমা পড়েছে প্রায় পৌনে ৬৯ লাখ টাকা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতে সেখানে ছাত্রসংসদ নেই সেখানে এখাতে ফি নেয়াটা মোটেই উচিত নয়। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নজরে দেয়া উচিত। জবাবদিহিতা না থাকায় কলেজ ফান্ডের লাখ লাখ টাকা বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে খরচ করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৬-৯৭ সালের পর কলেজগুলোতে আর ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
কুমিল্লার তিনটি সরকারি কলেজে প্রতিবছর নতুন শিক্ষাবর্ষে একাদশ, ডিগ্রি, অনার্স ও মাষ্টার্স কোর্সে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়ে থাকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ি উল্লেখিত শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন খাতে ফি পরিশোধের পাশাপাশি ছাত্র/ছাত্রী সংসদের নামে বাধ্যতামূলক দিতে হয় ২৫ টাকা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ প্রতি বছর একাদশ, ডিগ্রি, অনার্স ও মাষ্টার্সে প্রায় ৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়ে থাকে। প্রতিবছর এসব শ্রেণিতে ভর্তির সময় ৮ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ২৫ টাকা হারে ছাত্রসংসদ ফি বাবদ নেয়া হয় ২ লাখ টাকা। গত ২১ বছরে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ছাত্রসংসদ খাতে ফি জমা পড়েছে প্রায় ৪২ লাখ টাকা।
কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে প্রতিবছর একাদশ, ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সে ভর্তি হয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছাত্রী। প্রতিবছর এসব ছাত্রী থেকে ভর্তির সময় অন্যান্য ফি’র সঙ্গে ২৫ টাকা হারে ছাত্রী সংসদ ফি বাবদ আদায় করা হয় ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা। ছাত্রী সংসদ কার্যক্রম বন্ধের প্রায় ২১ বছরে সরকারি মহিলা কলেজ ওই খাতে আদায় করেছে ১৮ লাখ সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা। কুমিল্লা সরকারি কলেজে প্রতিবছর একাদশ শ্রেণি, অনার্স প্রথমবর্ষ ও ডিগ্রিতে ভর্তি হয় প্রায় ১ হাজার ৬০০ ছাত্র-ছাত্রী। ভর্তির সময় ২৫ টাকা হারে ছাত্রসংসদ ফি বাবদ বছরে জমা হয় ৪০ হাজার টাকা। ২১ বছরে ভর্তির সময় অচল ছাত্রসংসদ খাতে ফি আদায় হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা। এমনিভাবে ২১ বছরে কুমিল্লার ওই তিনটি সরকারি কলেজে ভর্তির সময় ছাত্র/ছাত্রী সংসদ ফি বাবদ ২৫ টাকা হারে আদায় হয়েছে ৬৮ লাখ সাড়ে ৭৭ হাজার টাকা।
ছাত্র/ছাত্রী সংসদ ফি আদায় প্রসঙ্গে ওইসব কলেজ কর্তপক্ষের বক্তব্য হলো সংসদ না থাকলেও এ খাতের অর্থ দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অনুদান, নবীনবরণসহ কলেজের সহশিক্ষা কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্য যথেষ্ট নয় মন্তব্য করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা বলেন, একুশ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এখাতে টাকা আদায় করা হচ্ছে। সেই টাকা নানাভাবে খরচ করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত ছাত্রসংসদ না থাকায় এখরচের জবাবদিহিতা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।