পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ধিত বেতন ও অন্যান্য ফি আদায়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশিষ্টজনেরা। সরকারি নীতিমালা অমান্য করে এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ফি আদায় করলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোন উদ্যোগ না থাকায় হতাশাও ব্যক্ত করেন তারা। গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে ২৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, বেসরকারি স্কুলে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বেতন, ফি আদায় করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি স্কুলে একলাফে ৭০ থেকে শতভাগ পর্যন্ত ফি বাড়ানো হয়েছে। যা অভিভাবকদের ওপর বাড়তি বোঝা ও অনভিপ্রেত চাপের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি নীতিমালার বাইরে বেতন ও ভর্তি ফি বৃদ্ধির এই ঘটনা ক্রমাগত অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। একদিকে অভিভাবকরা রাস্তায় নামছেন, অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের অনমনীয় মনোভাবের কারণে শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। যা মোটেই কাম্য নয়। তারা আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের জারিকৃত ভর্তি নীতিমালা মানছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি সরকারের নীতিমালা ও আদালতের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমনকি এটি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর দিক-নির্দেশনার সাথেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। শিক্ষা কোন পণ্য নয়, উল্লেখ করে বিশিষ্টজনেরা বলেন, মূলধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এধরণের অযৌক্তিক ফি ও বেতন বৃদ্ধি কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সরকারি নীতিমালা অমান্য করে এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে এই ধরনের চাপ সৃষ্টি করা অন্যায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কেন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা অবিলম্বে এই অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান এবং সবার জন্য শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন, বিশ্ব শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর মাহফুজা খানম, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দীন খান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য এ্যারোমা দত্ত, অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুলতানা কামাল, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, প্রফেসর শফি আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর মেসবাহ কামাল, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামিরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এম এম আকাশ, প্রফেসর হায়াত মাহমুদ, মামুনুর রশীদ, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর, পর্বতারোহী এম এ মুহিত, এভারেস্ট বিজয়ী নারী নিশাত মজুমদার ও নাট্য ব্যক্তিত্ব ডা. এজাজুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।